২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছে আরবিআই। আর এরই মধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্র দাবি করলেন, ২০১৬ সালে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোট বাতিলের সময় ২০০০ টাকার নোট আনতেই চাননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
1/6শুক্রবারই রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (আরবিআই) বাজার থেকে ২ হাজার টাকার নোট প্রত্যাহারের ঘোষণা করেছে। 'ক্লিন নোট পলিসি'র আওতায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, কেন এই নোট চালু হওয়ার সাতবছরের মধ্যে কেন এই নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নিতে হল কেন্দ্রকে? এরই মধ্যে নয়া দাবি করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রাক্তন প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি নৃপেন্দ্র মিশ্র। তাঁর দাবি, প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০০০ টাকার নোট আনতেই চাননি। (PTI)
2/6নৃপেন্দ্র মিশ্র বলেন, ২০১৬ সালে নোট বাতিলের পর, প্রধানমন্ত্রী বড় নোট বাজারে আনতে চাননি। কিন্তু স্বল্পমেয়াদী পদক্ষেপ হিসেবে এই ২০০০ টাকার নোট ইস্যু করতে হয়েছিল তাঁর সরকারকে। উল্লেখ্য, নোট বাতিলের সময় ২০১৬ সালে নৃপেন্দ্র মিশ্রই ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী মোদী বিশ্বাস করতেন যে ২০০০ টাকার নোট প্রতিদিনের লেনদেনের জন্য উপযুক্ত নয়। এছাড়াও এতে কালো টাকা এবং কর ফাঁকির প্রবণতা বাড়তে পারে বলে মনে করেছিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী মোদী সবসময় চেয়েছিলেন যে বাজারে সবসময়ে কম মূল্যের নোট আসা উচিত। এতে মানুষের সুবিধা হবে। (PTI)
3/6এর আগে ২০১৬ সালের ৮ নভেম্বর, ঠিক রাত ৮টার সময় নোটবাতিলের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কয়েক মিনিটেই গোটা দেশে তোলপাড় শুরু হয়ে গিয়েছিল। বাতিল করা হয়েছিল সেই সময়ের ১০০০ এবং ৫০০ টাকার নোট। বলা হয়েছিল, ভুয়ো টাকা এবং কালো টাকার রমরমা ঠেকাতেই এই পদক্ষেপ। পরবর্তীতে নতুন ৫০০ ও ২০০০ টাকার নোট আনা হয়েছিল। গতকাল রাতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া একটি নির্দেশিকা জারি করে নতুন ২০০০ টাকার নোট ফেরানোর ঘোষণা করে। তবে ২০১৬ সালের মতো এবার তাড়াহুড়ো লাগবে না। সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় মিলবে ২০০০ টাকার নোট বদলে নেওয়ার বা ব্যাঙ্কে জমা দেওয়ার জন্য। (PTI)
4/6দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের মতে, এই পদক্ষেপে দেশের মাত্র ১১ শতাংশ অর্থনীতির ওপর প্রভাব পড়বে। তবে এখনই অবৈধ ঘোষণা করা হচ্ছে না ২০০০ টাকার নোটকে। আপাতত এই নোটগুলি বৈধতা থাকবে আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। ২৩ মে থেকে শুরু করে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই নোট বদল করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। প্রায় ৭ বছর আগে ছাপানো শুরু হয়েছিল ২০০০ টাকার নোট। তবে এই নোট বাজার থেকে তুলে নেওয়ার পরিকল্পনা আগের থেকেই ছিল আরবিআই-এর। (PTI)
5/6২০১৮-১৯ অর্থবর্ষ থেকেই ২০০০ টাকার নোট ছাপানো বন্ধ করে দেওয়া হয়। অনেকবার গুজবও রটেছে যে ২০০০ টাকার নোট বাতিল করা হয়েছে। তবে এবার আরবিআই এই ২০০০ টাকার নোটের 'ব্যাঙ্ক ওয়াপসি'র ঘোষণা করল। তবে আগেরবারের মতো এই 'নোটবন্দি' আচমকা হচ্ছে না। তাই সাধারণ মানুষের তত কষ্ট হবে না বলেই আশা। তাছাড়া সাধারণ মানুষের হাতে এখন সেই অর্থে তত সংখ্যক ২০০০ টাকার নোট নেই। এমনি বাজারে ২০০০ টাকার নোট প্রায় দেখাই যায় না আর। (PTI)
6/6বর্তমানে বাজারে প্রচলিত টাকার মধ্যে মাত্র ১০.৮ শতাংশ মূল্যের নোট হল ২০০০ টকার। লেনদেনের ক্ষেত্রে ২০০০ টাকার নোটের চাহিদা কম। এটি বন্ধ হলে লেনদেনে সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। তবে আরবিআই-এর এই পদক্ষেপকে নিজেদের রাজনৈতিক ফায়দার জন্য হাতিয়ার করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (PTI)