শুভব্রত মুখার্জি: সাম্প্রতিক সময়ে আফ্রিকা ফুটবলের অন্যতম সেরা তারকা সাদিও মানে। মিশরের মহম্মদ সালাহর সঙ্গে একটা সময়ে জুটি বেঁধে প্রিমিয়ার লিগ কাঁপিয়েছেন তিনি। প্রিমিয়ার লিগের জনপ্রিয় ক্লাব লিভারপুলের হয়ে একটা সময়ে খেলতেন সাদিও মানে। বর্তমানে এই ৩১ বছর বয়সি সেনেগালের তারকা ফুটবলার পাড়ি জমিয়েছেন সৌদি আরবে। সেখানকার ক্লাব আল নাসেরের হয়ে খেলছেন তিনি। আর এই ফাঁকেই বিয়েটাও সেরে ফেললেন তিনি। ১৮ বছর বয়সি পারিবারিক বান্ধবীর সঙ্গে বিয়েটা সেরে ফেলেছেন তিনি। ঘটনাচক্রে মানেকে বিয়ে করার পরেই সেই স্কুলছাত্রী আবার ফিরে গিয়েছেন তাঁর স্কুলে। যেখানে তিনি রীতিমতো জমকালো সম্বর্ধনাও পেয়েছেন।
তবে লিভারপুল শুধু নয় বায়ার্ন মিউনিখের হয়েও একটা সময়ে খেলেছেন সাদিও মানে। লিভারপুলের হয়ে খেলার সময়ে তিনি সকলের নজর কেড়েছিলেন। খেলেছিলেন ১৯৬টি প্রিমিয়ার লিগ ম্যাচ। করেছিলেন ৯০টি গোল। লিভারপুলের হয়ে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে তিনি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালেও পৌঁছেছিলেন তিনি। যেখানে ২০১৯ সালের শিরোপাও জিতেছিলেন তিনি।সম্প্রতি তিনি বিয়েটা সেরে ফেলেছেন। সেনেগাল সিনিয়ার ফুটবল দলের হয়ে খেলা তারকা ফুটবলার তিনি। সাদিও মানের বিয়ে সেনেগালের ডাকার শহরে অনুষ্ঠিত হয়। বিয়ের অনুষ্ঠানে দুই পরিবারের আত্মীয়স্বজন এবং তাদের বন্ধু বান্ধবরা উপস্থিত ছিলেন। খানিকটা গোপনে বিয়েটা সারলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে সাদিও মানের বিয়ের কয়েকটি ছবি।
সাদিও মানের স্ত্রীর নাম আয়েশা টাম্বা। মানের জন্মস্থান কাসামানসা অঞ্চলের বাসিন্দাও তিনি। মাডিনগে ভাষায় পারদর্শী সাদিও মানের স্ত্রী। কিশোর বয়স থেকেই দুজনের মধ্যে প্রেম ছিল। সে কথা নিশ্চিত করেছেন আয়েশার বাবা আমানডৌউ। প্রেম করলেও মানে নিজের ব্যক্তিগত তথ্য মিডিয়ার থেকে গোপনেই রেখেছিলেন। আমানডৌউ জানিয়েছেন আয়েশা একবার তাঁর মার সঙ্গে মানেদের বাড়ি গিয়েছিলেন। সেখানে আয়েশাকে দেখার পরপরেই তাঁর প্রেমে পড়েছিলেন মানে। এরপর মানেদের পরিবারের তরফেই ট্র্যাডিশন মেনে দেওয়া হয় বিয়ের প্রস্তাব। যে প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করে নেয় আয়েশার পরিবার।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।