পাকিস্তান এবং নেপালকে হারিয়ে আগেই নকআউট পর্বে উঠে গিয়েছিল ইগর স্টিম্যাচের দল। তবে ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে অনেকটা পিছিয়ে থাকা কুয়েতের বিরুদ্ধে ড্র করে নিজেদের মুখ পোড়াল ভারত। এদিনের ম্যাচে অনেক উত্তেজনা হয়েছে। বারবারে উত্তপ্ত হয়েছে পরিবেশ। তিনটি লালকার্ড হয়েছে। তবে এত সবের ম্যাচে ভিলেন হয়ে থেকে গেলেন আনোয়ার আলি। ম্যাচের শেষ মুহূর্তে তাঁর আত্মঘাতী গোলের জন্যই সমতা ফেরায় ভারত।
ম্যাচ শেষ, ড্র করল ভারত
শেষ পর্যন্ত ড্র করেই সন্তুষ্ট থাকতে হল ভারতকে। আনোয়ার আলির আত্মঘাতী গোলে শেষ পর্যন্ত কুয়েত সমতা ফেরায়। আর শেষ পর্যন্ত ভারতেরও শীর্ষ স্থানে ওঠা হল না। কুয়েতই শীর্ষে থেকে গ্রুপ লিগের লড়াই শেষ করল।
গোওওওওওললললল… সমতা ফেরা কুয়েত
৯১ মিনিট: আনোয়ার আলির আত্মঘাতী গোলে সমতা ফেরাল কুয়েত। আলব্লুশির ক্রস আনোয়ার আলি বাঁ-দিক দিয়ে ক্লিয়ার করতে চেয়েছিলেন। তবে ক্লিয়ার করতে গিয়ে তিনি বল জালে জড়ান। আত্মঘাতী গোলে সমতা ফেরাল কুয়েত।
জোড়া লালকার্ড
৮৯ মিনিট: একই সঙ্গে ভারতের রহিম আলি এবং কুয়েতের আলকাল্লাফকে লালকার্ড দেখালেন রেফারি। সাহল আবদুল সামাদকে ফাউল করে মাটিতে ফেলে দেন আলকাল্লাফ। প্রতিবাদে রহিম আলিও দৌড়ে এসে আলকাল্লাফকে ধাক্কা মারেন। উত্তেজনা সৃষ্টি হয় মাঠে। হঠাৎ করেই মাঠে নেমে আসে কুয়েতের কোচিং স্টাফেরাও। তবে রেফারি দুই প্লেয়ারকে শুধু লালকার্ড দেখান। ভারত ও কুয়েত ১০ জনে খেলছে এখন।
ফের লালকার্ড, মাঠ ছাড়লেন স্টিম্যাচ
৮০ মিনিট: ইগর স্টিম্যাচ একটি হলদুকার্ড দেখেইছিলেন। তার পরেও ম্যাচ অফিসিয়ালদের সঙ্গে ক্রমাগত তিনি ঝামেলা করতে থাকেন। এবং রেফারি তাঁকে লালকার্ড দেখিয়ে মাঠ থেকে বের করে দেন। এই নিয়ে টুর্নামেন্টে দু'বার লালকার্ড দেখে ফেললেন স্টিম্যাচ। ভারতের প্রথম ম্যাচে দেখে বের হয়ে গিয়েছিলেন। যার জেরে দ্বিতীয় ম্যাচে মাঠের বাইরে থাকতে হয়েছিল। আবার তৃতীয় ম্যাচে লালকার্ড দেখলেন তিনি। ভারতের তিন ম্যাচে তিনি দু'টি লাল কার্ড দেখে ফেললেন।
সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট জিকসনের
৬৯ মিনিট: জিকসনের সামনে ব্যবধান বাড়ানোর সুবর্ণ সুযোগ ছিল। সুনীল ছেত্রী বল পেয়ে জিকসনকে পাস বাড়ান। তার প্রথম শট আটকে যায়। কর্নার পায় ভারত। কর্নার থেকে ছাংতে নিখুঁত ভাবে শট বাড়ান। জিকসনকে শুধু বলে মাথা ছোঁয়াতে হত। কিন্তু জিকসন অনেক বাইরে পাঠিয়ে দেয় বল।
রেফারির সঙ্গে ঝামেলা করে কার্ড দেখলেন স্টিম্যাচ
৬৩ মিনিট: নওরেম মহেশকে ফাউল করেন হামাদ আলকাল্লা। বলটি টেকনিক্যাল এরিয়ার ঠিক সামনে এসে পড়ে। স্টিম্যাচ বল তুলে নে়ন এবং ফাউলের জন্য আবেদন করেন। কুয়েতের খেলোয়াড়রা আক্রমণাত্মক ভাবে বল দাবি করেন এবং উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। আর মাথা গরম করে স্টিম্যাচ হলুদকার্ড দেখেন। স্টিম্যাচ যদি প্রতিটি ম্যাচেই এই রকম করেন, তবে ভারতের কপালে দুঃখ আছে। তবে রেফারির ফ্রি-কিক না দেওয়াটাও আশ্চর্যের।
আত্মবিশ্বাসী লাগছে সুনীলদের
৫৫ মিনিট: দ্বিতীয়ার্ধে প্রায় দশ মিনিট খেলা গড়িয়ে গেল। ভারত কিন্তু বেশ চেপে ধরেছেন কুয়েতকে। বিরতির পর অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছে সুনীলদের। তবে পাল্টা আক্রমণে উঠছে কুয়েতও। কিন্তু প্রথমার্ধের চেয়ে তাদের খেলার ঝাঁজ এখনও পর্যন্ত কম।
দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু
প্রথমার্ধে ভারত ১-০ এগিয়ে আছে। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরু হয়ে গেল। ভারত কি এই ম্যাচ জিততে পারবে?
প্রথমার্ধে ১-০ এগিয়ে ভারত
বিরতিতে ভারত ১-০ এগিয়ে রয়েছে। বিরতির ঠিক আগে সুনীলের গোলে এগিয়ে যায় ভারত। দ্বিতীয়ার্ধে যা ভারতের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে।
গোওওওওওওললললললল… ভারতকে এগিয়ে দিলেন সুনীল ছেত্রী
৪৫ মিনিটের খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল। বিরতির ঠিক আগে প্রথমার্ধের ইনজুরি টাইমে সাইডভলিতে দুরন্ত গোল করে ভারতকে এগিয়ে দেন সুনীল ছেত্রী। কর্নার কিক থেকে আসা বল ধরে ডান পায়ের সাইড ভলিতে গোল করেন ছেত্রী।
৪০ মিনিট পার, গোলের দেখা নেই
৪১ মিনিট: ৪০ মিনিট পার হয়ে গেল। কিন্তু কোনও দলই গোলের মুখ খুলতে পারেনি। তবে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছে।
কুয়েত প্রায় গোল করেই ফেলেছিল
২৫ মিনিট: মহম্মদ আবদুল্লা এবং ইদ আল রশিদি নিজেদের মধ্যে চমৎকার ওয়ান-টু খেলেন। ডানদিকে প্রায় ফাঁকা রেঞ্জ থেকে শট নেওয়ার সুযোগ এসেছিল। আবদুল্লা শট নিয়েওছিল। সকলে ধরে নিয়েছিল গোলও হয়ে গিয়েছে। কিন্তু রেফারি আবদুল্লাকে অফসাইড দেয়।
কুয়েতের ভালো সুযোগ
২০ মিনিট: আবদুল্লা আল ফাহাদের প্রায় ৩০ গজ দূর থেকে নেওয়া একটি শট ভারতীয় বারের ওপর দিয়ে চলে যায়। অল্পের জন্য সুযোগ হাতছাড়া হয়। উভয় পক্ষই এখনও পর্যন্ত গোলের মুখ খুলতে পারেনি।
গোলে নেই কিপার, কুয়েতের ডিফেন্ডাররা গোলের পাহারায়
১৫ মিনিট: দুটি দলের মধ্যে ভালো লড়াই চলছে। কুয়েতের গোলরক্ষক আব্দুল রহমান মারজুক সুইপার রক্ষকের দায়িত্ব নিয়ে বেশ দুঃসাহসিক হয়ে উঠেছেন। এবং তাঁর লাইন থেকে অনেক দূরে চলে এসেছেন। মারজুক ফিরে না আসা পর্যন্ত কুয়েত ডিফেন্ডারদের কিছুক্ষণ গোল পাহারা দিতে হয়েছিল।
গোলের মুখ খুলতে পারেননি দুই দলই
এখনও গোলের মুখ খুলতে পারেননি দুই দলই। কুয়েত এবং ভারত দুই দলই কেউই সেই ভাবে পজিটিভ সুযোগ তৈরি করতে পারেনি। তবে কুয়েতের প্লেয়াররা কিন্তু ভারতের ডিফেন্সকে বেশ চাপেই রেখেছে। ভারত কাউন্টার অ্যাটাকে মাঝে মাঝে উঠছে। তবে কুয়েত অনেক বেশি চাপ তৈরি করছে।
ভারতের জন্য সুযোগ
৫ মিনিট: কুয়েত ম্যাচের শুরু থেকেই রাশ নেওয়ার চেষ্টা করছে। এবং ভারতীয় বক্সে উঠে তারা কিন্তু বেশ কিছু ভালো সুযোগ তৈরির চেষ্টা করেছে। তবে ভারতও কাউন্টার অ্যাটাকে ওঠার চেষ্টা করছে। মহেশ ডানদিকে আকাশকে বল বাড়িয়েছিল এবং আকাশ একটি ক্রস বাড়িয়েছিলেন বক্সের ভিতর সুনীল ছেত্রীকে। যেটি অবশ্য সুনীল ধরতে পারেননি। ধরলে নিশ্চিত গোল ছিল।
খেলা শুরু
ভারত বনাম কুয়েতের ম্যাচ শুরু। ভারত-কুয়েত মোট তিন বার মুখোমুখি হয়েছে। তার মধ্যে একবার জিতেছে ভারত। বাকি দু'বার জিতেছে কুয়েত।
কুয়েতের একাদশ
আব্দুল রহমান মারজুক, আহমেদ আলধেফেরি, হাসান আলানেজি, সুলতান আলানেজি, মহম্মদ আবদুল্লা, শাবাইব আলখালদি, ইদ আলরাশিদি, হামাদ আলহারবি, আবদুল্লাহ ফাহাদ, রেধা আবুজাবারা, হামাদ আলকাল্লাফ।
ভারতের একাদশ
অমরিন্দর সিং, নিখিল পূজারি, সন্দেশ ঝিঙ্গান, আনোয়ার আলি, আকাশ মিশ্র, জিকসন সিং, অনিরুদ্ধ থাপা, নওরেম মহেশ সিং, লালিয়ানজুয়ালা ছাংতে, সুনীল ছেত্রী, আশিক কুরুনিয়ান।
ভারতের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স
এক ডজন ম্যাচে অপরাজিত ভারত। এর মধ্যে ১১টি জয়। একটি মাত্র ড্র ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে লেবাননের বিরুদ্ধে। গত ১২ ম্যাচে এই হল ভারতের পারফরম্যান্স। ইন্টারকন্টিনেন্টাল কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। এ বার নজরে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ।
ভারতের সম্মানরক্ষার লড়াই
ফিফা ক্রমতালিকায় কুয়েত ভারতের চেয়ে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে। ১০১-এ রয়েছে ভারত। কুয়েত রয়েছে ১৪৩-এ। তবে গত দুই ম্যাচে কুয়েতের পারফরম্যান্স ছিল নজর কাড়া। তারা এই ম্যাচেও ভারতকে হারাতে মরিয়া। কিন্তু ভারতের সামনে আজ সম্মান রক্ষার লড়াই। কুয়েতের কাছে তারা কোনও ভাবেই হার মানতে রাজি নয়।
শাস্তি কাটিয়ে আজ মাঠে থাকবেন স্টিম্যাচ
এই ম্যাচে টেকনিকাল এরিয়ায় থাকতে পারবেন হেড কোচ ইগর স্টিম্যাচ। পাকিস্তান ম্যাচে রেড কার্ড দেখায় বাকি সময় এবং নেপালের বিরুদ্ধে বেঞ্চে ছিলেন না স্টিম্যাচ। কুয়েতের বিরুদ্ধে নামার আগে কোচ বলছেন, ‘এই ম্যাচে জিতলে সেমিফাইনালে তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষ থাকবে। এটিও আমাদের কাছে আরও একটি ম্যাচ এবং অবশ্যই জেতার লক্ষ্যে নামব। আমাদের সবচেয়ে জরুরি লক্ষ্য ক্লিনশিট বজায় রাখা।’
একাদশে নাও থাকতে পারেন সুনীল
এক টানা খেলে চলেছেন অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। কুয়েতের বিরুদ্ধে শুরু থেকে হয়তো খেলবেন না অধিনায়ক। তরুণ ফুটবলারদের ওপর বাড়তি দায়িত্ব এবং সুযোগ থাকছে নিজেদের দক্ষতা প্রমাণের।
শীর্ষস্থান দখলের লড়াই আজ
নিজেদের ঘরের মাঠে আজ বড় চ্যালেঞ্জ ভারতীয় ফুটবল দলের সামনে। ইদানিং যে সব প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে খেলেছে ভারত, তাদের থেকে অনেক বেশি শক্তিশালী কুয়েত। পাকিস্তানকে তারা ভারতের মতোই চার গোলে হারিয়েছে আগের ম্যাচে। দুই দল নকআউটে পৌঁছে গেলেও, ম্যাচটিকে নিয়মরক্ষার বললে ভুল হবে। গ্রুপ-'এ'র শীর্ষস্থান নির্ধারণের জন্য ভারত-কুয়েত ম্যাচ যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। দুই দলের পয়েন্ট ৬। গোলপার্থক্যও সমান। তবে কুয়েত একটি গোল বেশি করায় তারা শীর্ষে রয়েছে। যদিও ভারত এখনও একটিও গোল খায়নি। সেখানে কুয়েত কিন্তু একটি গোল হজম করেছে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।