ভারতে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ফুটবলার তৈরির জন্য এবার উদ্যোগী হয়েছে ফিফা। ভুবনেশ্বর ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশন এবং ফিফার যুগ্ম প্রচেষ্টায় ফুটবল অ্যাকাডেমির তৈরি করা হয়েছে। আর মঙ্গলবার ভুবনেশ্বরের কলিঙ্গ স্টেডিয়ামে এআইএফএফ-ফিফা ট্যালেন্ট অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করেছেন ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক, ফিফার গ্লোবাল ফুটবল ডেভেলপমেন্টের প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার।
এই অ্যাকাডেমিতে মোট ৫০ জন অনূর্ধ্ব-১৪ ফুটবল খেলোয়াড়কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যার মধ্যে ১৫ জনই ওড়িশার বাসিন্দা। বাকিরা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নির্বাচিত। তাদের আগামী দু'বছর এই অ্যাকাডেমিতে ট্রেনিং দেওয়া হবে। অ্যাকাডেমির সঙ্গে মৌ চুক্তি অনুযায়ী, সমস্ত ফুটবলারদের থাকা, খাওয়া শিক্ষার জন্য আর্থিক সাহায্য় করবে ওড়িশা সরকার। টেকনিক্যাল সাপোর্ট এবং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবে ফিফা। কর্মকর্তাদের মতে, ফিফা-নিযুক্ত কোচ অ্যাকাডেমির কার্যক্রম পরিচালনা করবেন। ইতিমধ্যেই স্পেনের সের্গি অ্যামেকুয়া ফন্ত্রোদোনার নাম প্রস্তাব করেছে ফিফা। এর আগে চিনের ফুটবল প্রোজেক্টে যুক্ত ছিলেন এই কোচ। এখানে তাঁকে সহযোগিতা করবেন কোনও ভারতীয় কোচ।
ফিফা ট্যালেন্ট ডেভেলপমেন্ট স্কিমের (টিডিএস) অধীনে এই অ্যাকাডমিটি থাকবে। মূলত ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ফুটবলাদের তৈরি করতে ভুবনেশ্বরে ফিফা অ্যাকাডেমি তৈরির সিদ্ধান্ত নেওয়ায় নিজের উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন নবীন পট্টনায়েক। তিনি বলেছেন, ‘ফুটবল ভারতে একটি জনপ্রিয় খেলা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে। ভারতে ফুটবলে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে এবং সঠিক কোচিং পেলে, আমাদের দল ভবিষ্যতে খুব ভালো পারফর্ম করতে পারবে।’
তিনি আরও যোগ করেছেন, ‘আমি খুশি যে, আমরা ফিফা এবং এআইএফএফ-এর সঙ্গে মিলে এমন একটি অ্যাকাডেমি তৈরি করতে সক্ষম হয়েছি। ওড়িশা ফুটবল প্রকল্পগুলিকে সমর্থন করবে এবং ভারতে ফুটবল প্রচারের জন্য এআইএফএফ-কে সব রকম সাহায্য করবে।’
ফিফার টিডিএস প্রোগ্রামের মাধ্যমে ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা তাঁদের অন্তর্গত ফেডারেশনগুলির সঙ্গে জুটি বেঁধে কাজ করে যাতে তাদের জাতীয় দলগুলির গুণগত মান আরও উন্নত করা যায়। এর জন্য সব রকম সাহায্যও করে থাকে তারা।
এদিকে ভারতে পৌঁছেই কিংবদন্তি কোচ আর্সেন ওয়েঙ্গার মন্তব্য করেছিলেন, ভারতীয় ফুটবল হল সোনার খনি। এ দিন ভুবনেশ্বরে ফিফা-এআইএফএফ অ্যাকাডেমি উদ্বোধনে প্রতিজ্ঞা করেন, খনি থেকে সোনা বের করবেন। বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে ভারতের স্থান উজ্জ্বল নয়। যা নিয়ে প্রবল হতাশ ফিফার ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার। ভারতে প্রতিভার অভাব নেই, সে বিষয়ে নিশ্চিত তিনি।
ফিফার গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট কমিটির প্রধান আর্সেন ওয়েঙ্গার বলেছেন, ‘আমাদের কাজই হল ভারতে ফুটবল প্রতিভা চিহ্নিত করা। সেরা প্রতিভাদের একত্রিত করা এবং তাদের পরিচর্যা করা। প্রতিযোগিতা মূলক ফুটবলের জন্য তাদের প্রস্তুত করতে হবে। এর জন্য চাই প্রয়োজনীয় ফুটবল শিক্ষা। মূল লক্ষ্য থাকবে এই খনি থেকে প্রতিভা তুলে আনা।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।