শুভব্রত মুখার্জি: ডার্বি মানেই শহর, শহরাঞ্চল এমনকী গ্রামাঞ্চল থেকে হাজার হাজার সমর্থকদের কলকাতা শহরের বুকে সমাগম ঘটে। দুই দল ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের অগণিত সমর্থকরা এই ম্যাচ দেখতে ভিড় জমান সল্টলেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। তাদের যাতায়াতের অন্যতম বড় মাধ্যম লোকাল ট্রেন এবং বাস। বাড়ি থেকে স্টেডিয়াম আসা হোক কিংবা স্টেডিয়াম থেকে বাড়ি ফেরা দুই ক্ষেত্রেই বেশিরভাগ লোক এই লোকাল বাস, ট্রেন ব্যবহার করে থাকেন। হাওড়া ডিভিশনের হাওড়া থেকে ব্যান্ডেল শাখায় রবিবার লাইন মেরামতির কাজের জন্য এই লাইনে বিঘ্ন হয় ট্রেন চলচল। ফলে অস্বাভাবিক ছিল ট্রেন চলাচল। সমস্যা এতটাই ছিল যে অনেক সমর্থক ডুরান্ড ফাইনালের ডার্বি উপভোগই করতে পারলেন না! কারণ মাঠে এসেই তারা পৌঁছতে পারলেন না।
হাওড়া শাখার উত্তরপাড়া স্টেশনে নন ইন্টারলকিংয়ের কাজ চলছিল সকাল থেকেই। ফলে ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। পৌনে এগারোটা থেকে ডাউন লাইনে বন্ধ ছিল ট্রেন চলাচল। পরপর স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন লোকাল ট্রেনগুলি। রিষড়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে ছিল ডাউন গ্যালোপিং কাটোয়া লোকাল। কোন্নগর এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে ছিল ডাউন শেওড়াফুলি লোকাল। ট্রেন পরিষেবা বিঘ্নের খবর অনেক সমর্থক আগে থেকে জানতে পারেননি ফলে তারা ভোগান্তির মুখে পড়েন। ট্রেন ধীরে চলায় সময়ে স্টেডিয়ামে সময়ে পৌঁছতে পারেননি তারা। ফলে ডার্বি দেখতে আসা সমর্থকদের অনেকেই ছিলেন ক্ষুব্ধ।
হাই ভোল্টেজ ম্যাচের শুরুটা অনেকেই দেখতে পাননি। অনেকে দ্বিতীয়ার্ধের পরের দিক পৌঁছেছেন। ফলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সমর্থকেরা। যদিও পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে সকালেই জানানো হয়েছিল সমস্যা মিটতে বিকেলেরও বেশি সময় লেগে যেতে পারে । পূর্ব রেলের মূখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছিলেন, এই সমস্যা মিটতে বিকেল চারটে বেজে যাবে। রবিবার ছুটির দিনে লোকাল ট্রেনের সংখ্যা এমনিতেই কম থাকে। যাত্রীর চাপ কম থাকায় এদিনকেই সাধারণত সমস্ত মেন্টেনেন্সের কাজ করা হয়ে থাকে। কিন্তু এদিন ডার্বি থাকায় দুপুর থেকে ভিড় বাড়ছিল ট্রেনগুলোতে। কিন্তু সিগন্যালিং ঠিক না থাকায় ট্রেন ধীর গতিতে চলতে থাকে আর সেখানেই বাঁধে সমস্যা।
১৯ বছর পর ডুরান্ড কাপের ফাইনালে ডার্বিতে ম্যাচের সাক্ষী ছিল ইস্টবেঙ্গল ও মোহনবাগান সমর্থকরা। রবিবাসরীয় বিকেলে উত্তরপাড়াতে পাওয়ার ব্লক থাকায় হাওড়া পৌঁছতে লাগছিল ২-৩ ঘণ্টা। ফলে আটকে পড়েন অনেকেই। ম্যাচে ৬২ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন অনিরুদ্ধ থাপা। এরপর ৭১ মিনিটে দিমিত্রি পেত্রাতোস গোল করে এগিয়ে দেন মোহনবাগানকে। ওই গোলে ভর করেই শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয় নিশ্চিত করে মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।