বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুলরা পারেননি। ঋষভ পন্তকে নিয়ে শেষ দিনে ভারতীয় শিবির আশায় বুক বেঁধেছিল বটে, তবে তিনিও দলকে নির্ভরতা দিতে ব্যর্থ হন। যে কাজটা করতে বাকিরা ব্যর্থ, সেটাই অনায়াসে সম্পন্ন করলেন মহম্মদ শামি। তাও আবার ব্যাট হাতে।
আসলে লর্ডস টেস্টে হার বাঁচাতে হলে স্কোর বোর্ডে রানের প্রয়োজন ছিল ভারতের। চতুর্থ দিনের শেষে ভারতের হাতে প্রতিষ্ঠিত ব্যাটসম্যান ছিলেন কেবল পন্ত। তিনিও পঞ্চম দিনের শুরুতেই আউট হয়ে বসেন। ভারত ১৯৪ রানের মাথায় ৭ উইকেট হারায়। প্রথম ইনিংসের ২৭ রানের খামতি বাদ দিয়ে কোহলিরা ইংল্যান্ডের সামনে ২০০ রানের লক্ষ্যমাত্রাও ঝুলিতে দিতে পারবেন কিনা, তা নিয়ে যখন প্রবল সংশয় দেখা গিয়েছে, ঠিত তখনই পরিত্রাতা হয়ে দেখা দেন শামি।
পন্ত আউট হওয়ার পর ইশান্ত শর্মার সঙ্গে ১৫ রানের পার্টনারশিপ গড়েন শামি। ইশান্ত যখন ফেরেন, ভারতের স্কোর ৮ উইকেটে ২০৯। বুমরাহ ক্রিজে আসার পর তাঁকে নিয়ে শামি দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন এবং কোহলিদের মুখের হাসি ক্রমশ চওড়া হয়।
দিনের প্রথম সেশনে বুমরাহর সঙ্গে অবিচ্ছদ্য জুটিতে আরও ৭৭ রান যোগ করেন শামি। ইতিমধ্যে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। ইনিংসের ১০৬তম ওভারে মঈন আলির দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে চার ও ছক্কা মেরে অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকে যান টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসার। ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ঐতিহ্যশালী লর্ডসে ৫৭ বলে হাফ-সেঞ্চুরি করার কৃতিত্ব অর্জন করেন শামি।
টেস্ট কেরিয়ারে এটি শামির দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি। তবে গুরুত্বের নিরিখে নিশ্চিতভাবে এটাই শামির সেরা ইনিংস। দলের প্রয়োজনের সময় এমন অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলতে পারলে বিরাট কোহলিও গর্বিত হতেন নিশ্চিত।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।