কিছুটা হঠাৎ করেই পাকিস্তান ক্রিকেট দলের হেড কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন মিসবা উল হক। তাঁর পথই অনুসরণ করলেন বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিসও। তাও আরও এক বছরের চুক্তি ছিল দুই কোচের সঙ্গে। তবু তাঁরা সরে দাঁড়িয়েছেন। আর এই নিয়েই চলছে বিতর্কের ঝড়। তবে মিসবা উল হক এবং ওয়াকার ইউনিসের এ ভাবে দুম করে পদত্যাগ করার ঘটনার রীতিমতো বিরক্ত পাকিস্তানের তারকা পেসার শোয়েব আখতার। তাঁর মতে, মিসবাদের যদি পদত্যাগ করতে বলাও হয়, তবে ওদের প্রতিবাদ করা উচিত ছিল।
একটি ইউটিউব চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রাওলপিণ্ডি এক্সপ্রেস বলেছেন, ‘আমি মনে করি না, ওরা স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছে। বরং মনে করি, ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থার তরফে, ওদের পদত্যাগ করতে বলা হয়েছিল। পিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াসিম খানের জন্য দুঃসংবাদ যে কোনও মুহূর্তে আসতে পারে এবং আমি মনে করি না, তিনি তাঁর চাকরিটা বাঁচাতে পারবেন বলে। আমার মনে হয়, ওঁর জন্য শেষটা দুঃখেরই হবে। কারণ নতুন চেয়ারম্যান তাঁর নিজের টিম নিয়ে আসবেন। দেখা যাক কী হয়! তবে রামিজ রাজার নিজের টিম নিয়ে আসার এবং নতুন পরিকল্পনা করার সব অধিকারই রয়েছে। পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নতির জন্য ওঁর যে কাউকে নিযুক্ত করা বা বহিষ্কার করার পূর্ণ অধিকারও রয়েছে।’
তবে শোয়েব মনে করেন, মিসবা এবং ওয়াকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত ছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আর বেশি সময় নেই, এই যুক্তি দেখিয়েই তাঁদের লড়াই করা উচিত ছিল। তার বদলে মিসবা এবং ওয়াকার কাপুরুষের মতো সরে গিয়েছেন বলে দাবি শোয়েবের। তিনি বলেছেন, ‘আমি যদি মিসবার জায়গায় থাকতাম, এর জন্য আমি লড়াই করতাম। ওদের বলতাম, সকলের সামনে আমার থেকে পদত্যাগপত্র চাইতে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কাছাকাছি পদত্যাগ করাটা মোটেও শোভনীয় বিষয় নয়। আমি মনে করি, এটা কাপুরুষের মতো কাজ। পাকিস্তান ক্রিকেটের দরকার ওদেরকে। যদি এটা ভেবে ওরা ভীত হয়ে থাকে যে, বিশ্বকাপের চাপ ওদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হবে, তা হলে সেই ভাবনা ভুল। ২০১৯ সাল থেকে মিসবা দলের দায়িত্বে ছিল। আর এই সময়ে এসে ও পদত্যাগ করে বসল।’
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।