শেষ হয়েও শেষ হচ্ছে না। এমনটাই অবস্থা ইংল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশেজ টেস্ট সিরিজ নিয়ে। এই সিরিজের পাঁচটি ম্যাচেই অনেক বিতর্ক হয়েছে। প্রতিবারই জল অনেক দূর পর্যন্ত গড়িয়েছে। তবে শেষ টেস্ট ম্যাচে বল পরিবর্তনের বিতর্ক যেন থামতেই চাইছে না। অস্ট্রেলিয়া বল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে অভিযোগ করার পর প্রাক্তন অজি ক্রিকেটাররাও আসরে নেমে পড়েন। আইসিসি নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে জানায় আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে তারা হস্তক্ষেপ করে না। এবার আরও এক কদম এগিয়ে যে বলে ওই টেস্ট ম্যাচ খেলা হয়েছে সেই ডিউকসের মালিক বল পরিবর্তনের ব্যাপারে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন।
পঞ্চম টেস্ট ম্যাচের চতুর্থ দিনে মার্ক উডের বাউন্সার উসমান খোয়াজার হেলমেটে লাগার পর অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের ৩৭তম ওভারে বল পরিবর্তন করা। ক্রিকেটীয় ভাষায় স্পেয়ার বল নেওয়া হয়। তারপরই অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি উইকেট পর পর পড়ে যায়। ইংল্যান্ড সেই ম্যাচ জিতে নিয়ে সিরিজ ২-২ করে নেয়। এরপর এই অস্ট্রেলিয়ার টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে অভিযোগ করা হয় যে বলটি পরিবর্তন হিসেবে নেওয়া হয়েছিল তা আগের বলের থেকে অনেক বেশি শক্ত এবং চকচকে ছিল। তার ফলে ইংল্যান্ডের এই ম্যাচ জয়ের ক্ষেত্রে অনেকটা সুবিধা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার পরাজয়ের পর খোয়াজা বলেছেন তিনি অবিলম্বে আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনার কাছে প্রতিস্থাপন বলের পছন্দ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। যা আগের বলটির চেয়ে দৃশ্যত নতুন বলে মনে হয়েছিল। এই অভিযোগের পর কয়েকজন প্রাক্তন ক্রিকেটারও মুখ খুলতে শুরু করেন। প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক রিকি পন্টিং বলেন, 'একটি বিশাল ভুল যা তদন্ত করা দরকার।'
ডিউকস বল প্রস্তুতকারী সংস্থা ব্রিটিশ ক্রিকেট লিমিটেডের মালিক দিলীপ জাজোদিয়া কোড স্পোর্টসকে বলেন, 'আমি নিজেই এই বিষয়ে তদন্ত করব। কারণ এটি আমাকে প্রভাবিত করেছে। আমার নাম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাই এটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আশা করছি বলের সঙ্গে তারা কিছু অপব্যবহার করবে না।'
কোড স্পোর্টসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী জানা যাচ্ছে ইংল্যান্ড শিবির থেকেও বল পরিবর্তনের ক্ষেত্রে কিছুটা কানাঘুষো শুরু হয়েছে। মনে করা হচ্ছে যে বলটি পরিবর্তন করা হয়েছে তা ২০১৮ বা ২০১৯ সালের বল। যা বোলারদের অতিরিক্ত সাহায্য করতে পারে। এই বিষয়ে জাজোদিয়া বলেন, 'আমার মনে হয় না এক সময়ের বল নতুন কোনও দিন রেখে তারা ঝুঁকি নেওয়ার কাজ করবে। সত্যি বলতে ম্যাচ রেফারির এই বিষয়ে সবার উপরে থাকা উচিত। এটি থেকে মুক্তি পাওয়া সহজ হবে না। আমি বলছি না এটা অসম্ভব কিন্তু তা সত্যিই অনেকটাই কঠিন।' বদলি বল বেছে নেওয়ার জন্য আম্পায়ারদের কাছে যথেষ্ট পরিমাণে বল উপস্থাপন করা হয়েছে কিনা তা নিয়েও অনেক প্রশ্ন তুলেছেন। তবে জাজোদিয়া ব্যাখ্যা করেছেন যে তাঁর সংস্থা ইসিবি বা আইসিসির পরিবর্তে ভেন্যুতে সরাসরি বল সরবরাহ করে।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।