আজ বা আগামিকাল পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে একটি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়। এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে ন্যাশনাল ওসেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার। যা মহাকাশ সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্য প্রদান করে থাকে।
এনওএএয়ের তরফে জানানো হয়েছে, ‘ফিলামেন্ট’ (সৌরপৃষ্ঠের উপর অত্যন্ত ঘন এবং শীতল আয়োনাইজড গ্যাসের মেঘ হল সোলার ফিলামেন্ট, যা বিপরীত চৌম্বকীয়ক্ষেত্রের মধ্যে থাকে) বিস্ফোরণ ফলে যে 'করোনাল মাস ইজেকশন' (সূর্যের চৌম্বকক্ষেত্রে প্রচুর শক্তি আছে। কখনও কখনও প্রবল বিস্ফোরণ হয়। যা পরমাণু বোমার মতো হয়। সেখান থেকে যে শক্তি বেরিয়ে আসে, সেটাই হল করোনাল মাস ইজেকশন) আসার কথা ছিল, তার প্রতিক্রিয়া হিসেবে ৬ এবং ৭ এপ্রিল একটি ভূ-চৌম্বকীয় ঝড় বা সৌরঝড় হতে পারে। তবে সেই ঝড়ের আশঙ্কায় সাধারণ মানুষের জন্য কোনও সতর্কতা জারি করা হয়নি। ঝড়টিকে ‘জি১’ (ছোটোখাটো) শ্রেণিতে রাখা হয়েছে।
ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের প্রভাব
পৃথিবীর মেরুজ্যোতির উপর প্রভাব পড়ার পাশাপাশি পৃথিবীর বিদ্যুৎ সংযোগ ব্যবস্থা, মোবাইল নেটওয়ার্ক, জিপিএস, রেডিয়ো যোগাযোগ ব্যবস্থা, উপগ্রহ যোগাযোগ ব্যবস্থার মতো বিষয় ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে যেমন ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের জেরে বড় ধাক্কা খেয়েছিল টেসলা এবং স্পেসএক্সের সিইও ইলন মাস্কের স্টারলিঙ্ক প্রকল্প। ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের কারণে ৪০ টি উপগ্রহ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
এমনিতে সৌরঝড়কে জি১ থেকে জি৫ শ্রেণিতে বিভক্ত করা হয়। জি৪ বা জি৫ শ্রেণিভুক্ত ভূ-চৌম্বকীয় ঝড়ের কারণে পৃথিবীতে জোরদার প্রভাব পড়ে। বিভিন্ন জিনিস ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এবার যে ‘জি১’ ঝড়ের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তাতে পৃথিবীর উপর তেমন প্রভাব পড়বে না।