টুইটার থুড়ি এক্স-এর নতুন প্রতিযোগী থ্রেডস আপাতত কিছুটা ব্যাকফুটে। মার্ক জুকারবার্গের মেটাভার্স প্রকল্পে নয়া সোশ্যাল সাইট থ্রেডস লঞ্চের সময় কৌতূহল সৃষ্টি করেছিল। বাজারে আসার এক সপ্তাহের মধ্যে ১০ কোটির বেশি গ্রাহক নিয়ে টুইটারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিল মেটার টেক্সট ভিত্তিক অ্যাপ থ্রেডস। প্রথম পাঁচ দিনের মধ্যে ১০০ মিলিয়ন ব্যবহারকারী অতিক্রম করে রেকর্ডও গড়েছিল থ্রেডস। কিন্তু দ্রুত এই অ্যাপটি গত সপ্তাহে অর্ধেকের বেশি ব্যবহারকারী হারিয়েছে। এই হারানো গ্রাহকদের ফেরাতে নতুন উদ্যোগ নিতে যাচ্ছে মেটা। এই নিয়ে সম্প্রতি কোম্পানির কার্যনির্বাহীদের কিছু নির্দেশ দিয়েছেন মেটার সিইও মার্ক জুকারবার্গ।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোম্পানির অভ্যন্তরীণ প্রশ্নোত্তর বৈঠকে থ্রেডের উন্নয়নের বিষয়ে কর্মীদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছেন। এই বৈঠকে জুকারবার্গ বলেন, ‘অ্যাপটিতে যদি ১০ কোটির বেশি লোক নাম দেখায় এবং এর মধ্য থেকে যদি অর্ধেকও সক্রিয় থাকে তাহলেও দুর্দান্ত ব্যাপার হবে। আমরা এখনও সেই পর্যায়ে যেতে পারিনি।’ কিন্তু, বিপুল সাড়া জাগিয়েও কেন ব্যবহারকারীরা মুখ ফেরালেন? এই ঘটনাকে স্বাভাবিক বলেই মনে করেন জুকারবার্গ। বর্তমানে ব্যবহারকারী বাড়াতে ডেস্কটপ সংস্করণ আনার পরিকল্পনা করছেন তিনি। এছাড়াও অনুসন্ধানের সুযোগ-সুবিধাসহ বেশ কিছু ফিচার যুক্ত করার কথা বলেছেন তিনি।
সংস্থার আভ্যন্তরীণ বৈঠকে মেটাভার্স প্রসঙ্গেও আলাপ-আলোচনা সারেন জুকারবার্গ। মেটাভার্স সব মিলিয়ে গত বছর বিপুল বিনিয়োগ করেছে, কিন্তু সেই তুলনায় সাড়া ফেলতে পারেনি তারা। বহু বিনিয়োগকারী মেটার প্রতি আস্থাও হারিয়েছেন। এর প্রভাব পড়েছে বিজ্ঞাপনে। ব্যাপকভাবে কমেছে বিজ্ঞাপনের হার ও সেখান থেকে আয়। তবে বৈঠকের পরে সম্প্রতি মেটার শেয়ারদর ৮ শতাংশ বেড়েছে বলে শেয়ার বাজার সূত্রে খবর।
জুকারবার্গের মতে, ২০৩০ সাল হবে গুরুত্বপূর্ণ একটি সময়। এই সময়ে গ্রাহকেরা ভার্চুয়াল রিয়্যালিটির দিকে আরও আরও ঝুঁকবে। সেই সময়ের মধ্যে মেটাভার্সও পুরোপুরি প্রস্তুত হয়ে যাবে বলে আশাবাদী জুকারবার্গ। মেটাভার্সের প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যাপেল, গুগল বা মাইক্রোসফটের মতো কোম্পানিগুলিকে টেক্কা দিতে এই প্রযুক্তিতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে হবে বলে উল্লেখ করেন মেটার সিইও। তিনি মনে করান প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানিগুলোর অপারেটিং সিস্টেম তৈরির দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ফলে প্রতিযোগিতা খুব সহজ হবে না বলেই মনে করেন জুকারবার্গ।