হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী প্রতি বছর ফাল্গুন পূর্ণিমা বা দোল পূর্ণিমার দিনে হোলিকা দহন বা ন্যাড়া পোড়ানো হয়। এর পরের দিনই রঙের উৎসবে মেতে ওঠেন সকলে। মনে করা হয়, এ সময় কিছু উপায় করলে সুখ-সমৃদ্ধি লাভ করা যায়।
১. ন্যাড়া পোড়ার পরের দিন সকালে একটি গোটা পানে গোটা সুপুরি, ন্যাড়া পোড়ার ভস্ম রেখে মন্দিরে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন। এর পর শিবের কাছ থেকে যোগ্য জীবনসঙ্গী লাভের জন্য প্রার্থনা করুন। সেখান থেকে ফিরে আসার সময় পিছন ফিরে তাকাবেন না। সাত দিন এই উপায় করলে শীঘ্র বিবাহের সম্ভাবনা থাকে।
২. ন্যাড়া পোড়ার পর সেখানকার ভস্ম নিয়ে বাড়ি আসুন। কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজে পুরুষরা ললাটে ও মহিলারা গলায় সেই ভস্মের তিলক করুন। এর ফলে কাজে সাফল্য পাওয়া যায় ও ধন-সম্পত্তি বৃদ্ধি হয়।
৩. ন্যাড়া পোড়ার ভস্ম বাড়ির চারদিকে ছড়ালে বাড়িতে অশুভ শক্তির প্রবেশ ঘটে না।
৪. ফাল্গুন পূর্ণিমার পরের দিনে রঙ খেলতে বেরনোর আগে ভস্ম লাগিয়ে বেরোনো উচিত। এর ফলে দেবতারা প্রসন্ন হন ও জীবন থেকে সমস্ত ধরণের বাধা দূর হয়।
৫. হোলির দিনে স্নানের পর বাড়ির ঠাকুরঘরে দেব-দেবীদের লাল আবীর অর্পণ করুন। সেই আবীরের প্যাকেটে একটি রুপোর কয়েন রেখে সেটিকে মৌলী সুতো দিয়ে বেধে টাকা রাখার স্থানে রেখে দিন। এর ফলে ধন লাভ হবে ও অর্থ সঞ্চয় শুরু হবে।
৬. হোলির দিনে আবীর লাগালে ঘর পরিবারে প্রেম, সৌহার্দ্য ও সুখের বাস হয়। হোলির দিনে সবার আগে দেব-দেবী ও বাড়ির বয়োজ্যেষ্ঠদের আবীর লাগিয়ে তাঁদের আশীর্বাদ নেওয়া উচিত।
৭. হোলির দিনে বাড়িতে কোনও অতিথি এলে তাঁদের অবশ্যই কিছু খাইয়ে পাঠাবেন। এর ফলে ভাগ্য প্রবল হয় ও পরিবারে লক্ষ্মীর স্থায়ী বাস হয়।
৮. কোষ্ঠিতে গ্রহ দোষ থাকলে ন্যাড়া পোড়ার ভস্মকে জলে মিশিয়ে শিবলিঙ্গে অর্পণ করুন। এর ফলে গ্রহ দোষের নিবারণ হয়।