আইপিএলে এবারে দিল্লির ক্যাপিটালস দলের হেড কোচ অস্ট্রেলিয়ার রিকি পন্টিং। তিনি যেমন আগ্রাসী ক্রিকেট খেলতেন, তাঁর দলের অধিনায়কও এখন ঠিক ততটাই আগ্রাসন দেখিয়ে ব্যাটিং করার চেষ্টা করেন। তবে রিকি পন্টিং অন্য জিনিস। বিশ্বক্রিকেটের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের মধ্যে ওপরের দিকেই থাকবেন তিনি। ২০০৩ সালে জোহানেসবার্গে ফাইনাল ম্যাচে তাঁর শতরান এখনও বহু ক্রিকেটরপ্রেমীর মনের মধ্যে রয়েছে। অবশ্য ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরা তা ভুলতেই চাইবেন। কারণ জাহির খানের নেতৃত্বে ভারতীয় বোলিং লাইন আপকে কার্যত দিশেহারা করে দিয়েছিলেন তিনি একাই। শতরান করে সেদিন ভারতীয় বোলিং লাইন আপের মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছিলেন। অনেকটা টি২০ ফরম্যাটের ঢংয়েই করেছিলেন ১৪০ রান। যার ফলে তাঁর দল প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৩৫৯ রান তুলেছিল বিশ্বকাপ ফাইনালে। সেই রান তাড়া করে আর জেতা হয়নি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন ভারতীয় ক্রিকেট দলের। যদিও ২৪ মার্চ ২০০৩ সালে পন্টিংয়ের ব্যাটিং দেখার পর নানামহলে নানা গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। কীভাবে তিনি অত লম্বা ছয় মেরেছিলেন সেই নিয়ে শুরু হয়েছিল জল্পনা। উঠে আসে স্প্রিং ব্যাটের তত্ব।
আরও পড়ুন-নাইট রাইডার্সে নিশাচর প্রাণী,দিনে ঘুমোয়,রাতে জাগে, কাদের কথা বললেন ওয়াসিম আক্রম?
এই মূহূর্তে আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন পন্টিং। অতীতে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গেও ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই কিংবদন্তী অধিনায়ক। মাঝে মধ্যে বিশ্বকাপ প্রসঙ্গ চলে আসে তাঁর কাছে। অস্ট্রেলিয়ার সফলতম অধিনায়ক বলে কথা, প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক। স্টিভ ওয়াহ, মাইকেল ক্লার্করা থাকলেও পন্টিংয়ের মেজাজ ছিল একদমই অন্যরকম। ২০০৭ বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কাকে গুড়িয়ে দিলেও ২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে তাঁর শতরানের কথাই ক্রিকেটপ্রেমীদের মুখে ঘুরে ফিরে আসে। ঠিক কি হয়েছিল সেদিন? ২৪ মার্চ ২০০৩ সালে কি সত্যি স্প্রিং লাগানো ব্যাটে খেলতে নেমেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক? সম্প্রতি বিষয়টি খোলসা করেছেন ব্যাগি গ্রিনসদের প্রাক্তন অধিনায়ক।
আরও পড়ুন-সৌরভের গভীর ক্ষতে নুন দিলেন পন্টিং!খুঁচিয়ে তুললেন পুরনো কষ্ট
দিল্লি ক্যাপিটালস টিভিতে মজাদার সাক্ষাৎকারের সময় পন্টিংকে প্রশ্ন করা হয় স্প্রিং ব্যাট নিয়ে। তখন অজি অধিনায়ক বলেন, ‘স্প্রিং ব্যাট? সেটা কি? আমি কখনও এমন ব্যাটের কথা শুনিনি। স্প্রিং কি হ্যান্ডেলে লাগানো থাকে? অবশ্য বিষয়টা নিয়ে ভারতে অনেক কিছু শুনেছি, কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় শুনিনি। কারণ ব্যাটে কখনও স্প্রিং লাগানো থাকতে পারে না’।
আরও পড়ুন-IPL 2024-স্লো উইকেটে ২০৭ করতে পারে না, আবার টার্গেট ৩০০, হেডের সমালোচনায় হার্শেল গিবস
কয়েক বছর আগে যখন করোনার সময় সকলে গৃহবন্দী ছিলেন তখনও নিজের কুকাবুরা ব্যাটের ছবি পন্টিং পোস্ট করেছিলেন নিজের সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটে। সেখানেই বিশ্বকাপ ফাইনালে শতরান করা ব্যাটের দুদিকের ছবি তুলে ধরেছিলেন। প্রসঙ্গত পন্টিংয়ের ব্যাট নিয়ে ২০০৫ সালে বিতর্ক শুরু হয় কারণ তার ব্যাটে গ্রাফাইটের কোটিং ছিল। তা আদৌ বৈধ কিনা সেই নিয়েও তদন্ত হয়েছিল।