Varuthini ekadashi 2023: বরুথিনী একাদশীতে করুন এই সহজ প্রতিকার, শ্রীহরির কৃপায় দূর হবে সকল দুঃখ দুর্দশা

Updated: 16 Apr 2023, 12:00 PM IST Anamika Mitra

Varuthini ekadashi 2023: বরুথিনী একাদশীর দিন পুজো করলে ভক্তরা লক্ষ্মী ও নারায়ণ উভয়ের আশীর্বাদ পান। আসুন জেনে নিন বরুথিনী একাদশীর কিছু সহজ প্রতিকার, যার দ্বারা শ্রীহরির কৃপায় দূর হবে সকল দুঃখ দুর্দশা।

1/6হিন্দু ধর্মে একাদশী তিথিকে অত্যন্ত শুভ এবং সেরা ফলদায়ক বলে মনে করা হয়। এই দিনে বিশ্ব রক্ষাকর্তা ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা হয়। এই বছর ১৬ এপ্রিল একটি বিশেষ একাদশী রয়েছে, যাকে বলা হয় বরুথিনী একাদশী। এই দিনগুলিতে পুজো করলে ভক্তরা লক্ষ্মী ও নারায়ণ উভয়ের আশীর্বাদ পান। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে যে ব্যক্তি নিয়ম-কানুন মেনে বরুথিনী একাদশী ব্রত পালন করে, তার উপর শ্রী হরির আশীর্বাদ বর্ষিত হয় এবং তার জীবনের সমস্ত কষ্ট চোখের পলকে চলে যায়। এই দিনে নেওয়া কিছু বিশেষ ব্যবস্থা কাঙ্খিত ফল বয়ে আনে।

2/6ইচ্ছা পূরণ হবে: একাদশীতে ভগবান শ্রী বিষ্ণুর পুজোর সময় শঙ্খের ব্যবহার অত্যন্ত শুভ ও ফলদায়ক বলে বিবেচিত হয়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে বরুথিনী একাদশীর দিন, যদি ভগবান শ্রী বিষ্ণুর মূর্তিকে শঙ্খ দিয়ে স্নান করা হয় এবং পুজোর পরে এটিতে ফুঁ দেওয়া হয়, তবে শ্রী হরি দ্রুত প্রসন্ন হন এবং কাঙ্ক্ষিত বর দেন।

3/6বাধা দূর হবে: বরুথিনী একাদশীর দিন ভগবান শ্রী বিষ্ণুর পুজোয় ব্যবহৃত শঙ্খের খোসায় গঙ্গাজল ভরে সারা ঘরে ছিটিয়ে দিন। এটি ঘর থেকে সমস্ত নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং ইতিবাচক শক্তির সঙ্গে সুখ এবং সৌভাগ্য বৃদ্ধি করে।

4/6পরিবারে শান্তি:বরুথিনী একাদশীতে ভগবান শ্রী বিষ্ণুকে দ্রুত সন্তুষ্ট করতে তাঁর পুজোয় বিষ্ণুপ্রিয়া তুলসী পাতা নিবেদন করুন। এর সঙ্গে ভগবানকে নিবেদন করা ভোগে অবশ্যই তুলসী নিবেদন করুন। এতে ভগবান বিষ্ণু খুব খুশি হন এবং পরিবারে সুখ শান্তি আসে।

5/6হলুদ ব্যবহার: ভগবান শ্রী বিষ্ণুর পুজোয় হলুদ জিনিসের ব্যবহার অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। বরুথিনী একাদশীর দিন ভগবান শ্রী বিষ্ণুর পুজোয় হলুদ রঙের কাপড়, হলুদ রঙের ফুল, হলুদ রঙের চন্দন, হলুদ রঙের ফল এবং হলুদ রঙের মিষ্টি নিবেদন করুন। নিজে হলুদ জামা পরুন। এতে ভগবানের পুজোর পরিপূর্ণ ফল পাওয়া যাবে।

6/6ঘি বাতি: বরুথিনী একাদশীর দিন ভগবান শ্রী বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেতে গরুর দুধ থেকে তৈরি ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে পুজো ও আরতি করুন। এমনটা বিশ্বাস করা হয় যে একাদশীর পুজোয় এই প্রতিকার করলে শীঘ্রই হরির আশীর্বাদ বর্ষিত হয়। সেই সঙ্গে ঘর থেকে শোক চলে যায় এবং সমৃদ্ধি আসে।