রায়পুরের এই শিব মন্দিরের ইতিহাস ৬০০ বছরের পুরনো, বুধেশ্বর মহাদেবের নামকরণ করা হয়েছে আদিবাসী দেবতার নামে। যদিও ছত্তিশগড়ের রাজধানী রায়পুরে চার দিকেই ভগবান ভোলেনাথের অনেক বিখ্যাত শিব মন্দির রয়েছে, কিন্তু ঐতিহাসিক মন্দিরগুলির মধ্যে বুধেশ্বর মহাদেব মন্দির দেখার বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। মহাশিবরাত্রি এবং শ্রাবণ মাসে হাজার হাজার ভক্ত এই মন্দিরগুলি দেখার জন্য ভিড় করেন। মহাশিবরাত্রির সময় মন্দিরে ২৪ ঘন্টা ভক্তিমূলক সঙ্গীত চলে।
এক সময় শহরের একেবারে শেষ প্রান্তে খনন করা পুরনো পুকুরটি এখন শহরের প্রাণকেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। আদিবাসী দেবতা বুদ্ধদেবের নামানুসারে পুকুরটির নামকরণ করা হয় বুধতলাব। পুকুরের পাড়ে একটি শিবলিঙ্গ ছিল বলে ধারণা করা হয়। তাঁর চারপাশে সাপ বাস করত এবং শিবলিঙ্গের চারপাশে সাপগুলি সর্বদা আবৃত থাকত। বুধতালাবের তীরে থাকায় শিবলিঙ্গটির নাম হয় বুধেশ্বর মহাদেব। পুকুরের পাড়ে একটি ছোট মন্দির তৈরি করে শিবলিঙ্গকে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল।
বুধেশ্বর মন্দিরে ২০০ বছরের পুরনো একটি বটগাছ রয়েছে। ভক্তদের বিশ্বাসের কেন্দ্রস্থল এই গাছের নিচে শত শত নারী ছুটে আসেন বট সাবিত্রী ব্রত পূজা করতে। এই গাছের নীচেই নরসিংহ জয়ন্তীতে নরসিংহ লীলার একটি দুর্দান্ত পরিবেশনা মঞ্চস্থ হয়, যা রাজ্য জুড়ে বিখ্যাত।
মহাশিবরাত্রিতে ভস্ম আরতি
মহাশিবরাত্রির সকালে শিবলিঙ্গে ভস্ম আরতি করা হয়। সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত হয় জলাভিষেক এবং সন্ধ্যায় গাঁজা, ধুতুরা, রূপার সাপ নিবেদন।
খোলা আকাশের নিচে ভৈরব বাবা: মন্দির চত্বরে শিবের অবতার ভৈরব বাবার মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। বর্ষাকালেও পুজো হয় অবিরাম। বিশেষ করে ভৈরব অষ্টমীতে হাজার হাজার মানুষ মন্দির দর্শন করতে আসেন।