প্রতিবছর কন্যা সংক্রান্তির দিনে দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার জয়ন্তী পালিত হয়। এদিন কলকারখানায় পূজিত হন বিশ্বকর্মা। আজ, ১৭ সেপ্টেম্বর, শুক্রবার বিশ্বকর্মা পুজো। বিশ্বকর্মা পুরাণ অনুযায়ী আদি নারায়ণ সবার আগে ব্রহ্মা ও তার পর বিশ্বকর্মার রচনা করেন। মনে করা হয় ব্রহ্মার সঙ্গে মিলে ইনি সৃষ্টির নির্মাণ করেন। বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে যন্ত্রপাতি, নির্মাণ কাজের সঙ্গে জড়িত মেশিন, দোকান, কারখানা ইত্যাদির পুজো করা হয়। বিশ্বকর্মাকে যন্ত্রের দেবতা মনে করা হয়।
বিশ্বকর্মা পুজো কেন করা হয়
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী কন্যা সংক্রান্তির দিনে বিশ্বকর্মার জন্ম হয়েছিল। শাস্ত্র মতে, বিশ্বকর্মা পুজোর ফলে ব্যবসা বৃদ্ধি হয়। ধন-ধান্য ও সুখ-সমৃদ্ধির জন্য বিশ্বকর্মার পুজো শুভ ও আবশ্যক। মনে করা হয়, প্রাচীন যুগের সমস্ত রাজধানী নির্মাণ করেছিলেন বিশ্বকর্মা। স্বর্গলোক, স্বর্ণ লঙ্কা, দ্বারকা ও হস্তিনাপুর বিশ্বকর্মা দ্বারা রচিত।
বিশ্বকর্মা পুজোর মন্ত্র
বিশ্বকর্মার পুজোয় ‘ওম আধার শক্তপে নমঃ’, ‘ওম কূমিয় নমঃ’, ‘ওম অনন্তম নমঃ’ ‘পৃথিবৈ নমঃ’ মন্ত্রের জপ করা উচিত। জপের সময় রুদ্রাক্ষ মালা ব্যবহার করবেন।
বিশ্বকর্মা পুজোর শুভক্ষণ
১৭ সেপ্টেম্বর কন্যা সংক্রান্তি। এদিন সূর্য কন্যা রাশিতে প্রবেশ করে। কন্যা সংক্রান্তির দিনেই বিশ্বকর্মার পুজো হয়। চলচি বছর কন্যা সংক্রান্তির পুণ্যকাল থাকছে ১৭ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা ৭ মিনিট থেকে ১৮ সেপ্টেম্বর ৩টে ৩৬ মিনিট পর্যন্ত। ১৭ তারিখ রাহুকালের সময় বিশ্বকর্মা পুজো করবেন না।