বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > Centre's Report on NEP: বাংলা কি সত্যিই জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধ করছে? মোদী সরকারের রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

Centre's Report on NEP: বাংলা কি সত্যিই জাতীয় শিক্ষানীতির বিরোধ করছে? মোদী সরকারের রিপোর্টে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

 জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণে বাংলার কাজকে ইতিবাচক সার্টিফিকেট মোদী সরকারের। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্যে পিটিআই)

জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণে বাংলা পাশ নাকি ফেল? মোদী সরকারের রিপোর্ট কী বলছে, এগিয়ে জম্মু-কাশ্মীর।

কেন্দ্রের তরফে আনা জাতীয় শিক্ষানীতি রূপায়ণের ক্ষেত্রে কোন রাজ্য বা কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির পরিস্থিতি কেমন, তা নিয়ে বিস্তারিত রিপোর্ট প্রকাশ করেছে মোদী সরকার। কেন্দ্রের শিক্ষা মন্ত্রক, মহিলা ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রক,  যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রক সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি এই রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে, জাতীয় শিক্ষা নীতি রূপায়ণের ক্ষেত্রে দেশে সবচেয়ে আগে রয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি।

এদিকে,  কেন্দ্রের ওই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় শিক্ষা নীতি রূপায়ণের নানান দিক নিয়েও। সেই দিক থেকে, কেন্দ্র বলছে, পশ্চিমবঙ্গ ইতিবাচক জায়গায় রয়েছে । বাংলায় ১৬ টি বিশ্ববিদ্যালয় ও ৩২৫ টি কলেজ বর্তমানে এনএসি (ন্যাক) স্বীকৃত। রিপোর্টে সুপারিশ করা হয়েছে, যাতে বাংলার বাকি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি এনএসি (ন্যাক)র তরফে এই স্বীকৃতি পায়। এছাড়াও বাংলার মেধার দিকটি নিয়ে এক বিশেষ তথ্য তুলে ধরেছে রিপোর্ট। সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে স্ট্র্যানফের্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সদ্য প্রকাশিত সমীক্ষার কথা। ওই সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বিশ্বের প্রথম দুই শতাংশ বিজ্ঞানীদের মধ্যে যাঁরা ভারতীয়, তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই পশ্চিমবঙ্গের। এর আগে, সদ্য ইসরোর চন্দ্রযান-৩ এর সাফল্যে একাধিক বাঙালি বিজ্ঞানীদের পরিশ্রমের তথ্য উঠে এসেছে। যার ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিকে, উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে ‘বাংলার উচ্চশিক্ষা’ নামে একটি ই গভর্ন্যান্স প্রক্রিয়ায় চালু রয়েছে পোর্টাল। সেকথাও উল্লেখ করা হয় রিপোর্টে। রিপোর্টে লেখা রয়েছে যে, ওই পোর্টালের মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গে উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে পড়ুয়াদের ভর্তির প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়াও সেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, জাতীয় স্তরের প্রথম ১০০ টি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে, পশ্চিম বঙ্গের ৩ টি বিশ্ববিদ্যালয় ৭ টি কলেজ রয়েছে। বিশ্বের ৪৬ টি দেশের সঙ্গে রাজ্যের বহু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মৌ স্বাক্ষরিত হওয়ার কথাও রিপোর্টে উল্লিখিত হয়েছে। 

তবে রিপোর্টে আলাদা করে প্রশংসা পেয়েছে জম্মু ও কাশ্মীর। তারা জাতীয় শিক্ষা নীতি বাস্তবায়িত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে। এছাড়াও রিপোর্ট বলছে, দেশের বহু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-শিক্ষক অনুপাতে ভারসাম্য কমেছে, সেখানে শিক্ষক নিয়োগের বিষয়ে জোর দিয়েছে কমিটি। এছাড়াও উল্লেখ করা হয়েছে, দেশের ৪১ টি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে ৮ টি আঞ্চলিক ভাষায় পঠনপাঠনের বিষয়টি। এছাড়াও ১৩ টি আঞ্চলিক ভাষায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়ার কথাও উল্লিখিত হয়েছে রিপোর্টে। 

 

 

 

 

বন্ধ করুন