ছুটির সকালে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা ঘটল নদিয়ায়। দাঁড়িয়ে থাকা বাসে সজোরে ধাক্কা।মারল লরি। তারফলে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন যাত্রী। এছাড়াও, এক যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। আজ রবিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে ধুবুলিয়া থানার ধুবুলিয়া বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ১২ নম্বর জাতীয় সড়কে। ঘটনায় তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই এক যাত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এদিন সকালে দুর্ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।
আরও পড়ুন: দিঘা যাওয়ার পথে উলটে গেল যাত্রী বোঝাই বাস, আহত শিশু সহ একাধিক
জানা গিয়েছে, যাত্রীবোঝাই বাসের সঙ্গে পাথর বোঝাই লরির ধাক্কা লাগার ফলে এদিনের দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনায় ৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। এছাড়াও আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে ধুবুলিয়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ধুবুলিয়া থানার পুলিশ। সূত্রের খবর, প্রতিদিনের মতো বাসটি মায়াপুর থেকে যাত্রী বোঝাই করে কৃষ্ণনগরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল। কৃষ্ণনগর যাওয়ার আগে ধুবুলিয়া বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় বাসটি যাত্রী তোলার জন্য রাস্তার পাশে দাঁড়িয়েছিল। জানা যায়, ঠিক তখনই হঠাৎ পিছন থেকে একটি পাথর বোঝাই লরি এসে আচমকা ওই যাত্রী বোঝায় বাসটিকে ধাক্কা মারে। দ্রুত গতিতে ধাক্কা লাগার কারণে বাসটি জাতীয় সড়কের পাশে থাকা কালভার্টের ওপর উলটে যায়।
এদিকে, বিকট আওয়াজ এবং যাত্রীদের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। প্রাথমিকভাবে উদ্ধারকাজে তারাই হাত লাগান। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে ধুবুলিয়া থানার পুলিশ। আহতদের বেশ কয়েকজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর শক্তিনগর জেলা হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়। এই দুর্ঘটনায় মৃত যাত্রীর পরিচয়। যদিও মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় এখনও জানা যায়নি। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, ওই বাসের মধ্যে শিশুসহ প্রায় ৩০ জন যাত্রী ছিলেন। তারা প্রত্যেকে বর্তমানে চিকিৎসাধীন। অন্যদিকে, এই দুর্ঘটনায় এক যাত্রীর হাত কেটে যায়। ওই যাত্রীর নাম আমাল শেখ (৪০)। তিনি নাকাশিপাড়া থানা এলাকার বাসিন্দা। তাকে চিকিৎসার জন্য শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।