ইলিশ ধরায় ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে বৃহস্পতিবার। নিষেধাজ্ঞার মেয়াদ শেষ হতেই ২ নভেম্বর মধ্যরাত থেকে বাংলাদেশে ইলিশ ধরতে নেমে পড়ছেন জেলেরা। প্রথম দিন থেকে আশানুরূপ মাছ পাওয়ায় ২২ দিন পর হাসির রেখা ফুটেছে জেলেদের মুখে।
গত ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের ছয়টি জায়গাকে ইলিশের অভয়াশ্রম কেন্দ্র হিসাবে ঘোষণা করা হয়। এই সময় নদীতে যে কোনও ধরনের মাছ ধরা, পরিবহণ মজুত বা ক্রয়-বিক্রয়ে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। সুষ্ঠভাবে মাছের প্রজননের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এই সময় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
জেলেরা জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা শেষে প্রথমদিনেই আশানুরূপ মাছ ধরা পড়েছে। পায়রা, বালেশ্বর ও বিষখালি নদীর মোহনায় জাল ফেললেই ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ উঠছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ ইলিশের ওজন ৯০০ গ্রামের উপর।
বরগুনা জেলার মৎস অধিকর্তা বিশ্বজিৎ দেব সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, সাগর ও নদীতে মাছের পরিমাণ বেড়েছ। যার সুফল জেলেরা পাচ্ছেন। তিনি আরও জানান, ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত ১০ ইঞ্চি (২৫ সেন্টিমিটার) সাইজের মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এর চেয়ে ছোট ইলিশ শিকার করা যায় না। এই নিয়ম মানতে পারলে চাষীরা লাভবান হবেন।
পশ্চিমবঙ্গে ইলিশ ঢুকবে কবে?
ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞা জারির আগে বাংলাদেশ থেকে ৪ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ পাঠানোর কথা জানানো হয়। কিন্তু আমদানি শুরু হতে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়ে যায়। ফলে মাথায় হাত পড়ে যায় মাছ আমদানিকারকদের।
ইলিশের ধরার নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর যাতে বাকি পরিমাণ ইলিশ আনা যায় তার অনুরোধ জানিয়ে, ভারত-বাংলাদেশ হাই কমিশনকে চিঠি পাঠায় মাছ ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীদের আশা মাছ আমদানিতে আবার অনুমতি দেবে বাংলাদেশ সরকার। আশা করা যায় কালীপুজোর আগেই ফের ভারতে ইলিশ আমদানী শুরু হবে।
কলকাতার ফিশ ইম্পোটার্স এসোসিয়েশন জানিয়েছে, প্রাথমিক ভাবে প্রায় ৪ হাজার মেট্রিক টন ইলিশ আনার ক্ষেত্রে সময়সীমা ছিল ৪০ দিনের। কিন্তু আমদানীর জন্য মাত্র ২২ দিন সময় পাওয়া গিয়েছে।
এসোসিয়েশন সচিব সৈয়দ আনোয়ার মাকসুদ বলেন, ‘আমরা চিঠি দিয়ে আবেদন জানিয়েছি ১১ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশ আসুক। তার পর ৩৯৫০ টনের মধ্যে যা বাকি থাকবে সেটা যেন নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবার পর ৩ নভেম্বর থেকে মেলে।’
বাংলাদেশের তরফে এখনও সেভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে সংগঠনের আশা ভাল ইলিশ উঠছে যখন তখন ফের আমদানীর অনুমতি দেবে বাংলাদেশ সরকার।