পানিহাটির দণ্ড মহোৎসবে যোগ দিতে ভোরের ট্রেনেই পূর্বস্থলি থেকে চলে এসেছিলেন ৭০ বছরের ছায়ারানী দাস। কিন্তু ফিরে যেতে পারলেন না। প্রচণ্ড গরমে ভিড়ের চাপে মৃত্যু হয় তাঁর। এদিন দণ্ড মহোৎসবে আরও যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁদের সঙ্গেও সেই পূর্ব বর্ধমানের পূর্বস্থলির যোগ রয়েছে।
জানা গিয়েছে, ছায়ারানীদেবীর বাড়ি পূর্বস্থলির যজ্ঞেশ্বরপুর এলাকায়। রবিবার সকালে যখন দুর্ঘটনার খবর আসে, তখন তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাশে দাঁড়াতে ছায়ারানীদেবীর বাড়িতে যান এলাকার বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায়। সেখানে যান পূর্বস্থলি দুই নম্বর ব্লকের বিডিও সৌমিক বাগচী। দুজনেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও সমবেদনা জানান। তখন আরও জানা যায়, শুধু তারারানীদেবীই নন, আরও যে দুই জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরাও এই যজ্ঞেশ্বরপুরেরই বাসিন্দা। কিন্তু বর্তমানে তাঁরা পানিহাটিতে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে থাকছিলেন। পানিহাটিতে গৌরাঙ্গ অ্যাপার্টমেন্টে মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন সুভাষ পাল ও শুক্লা পাল। ওই অ্যাপার্টমেন্টের নীচেই চলছিল দই চিঁড়ে উৎসব। সুভাষবাবু তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে আরতি দেখতে গিয়েছিলেন। সেখানেই ভিড়ের চাপে দমবন্ধ হয়ে মৃত্যু হয় দুজনের। উল্লেখ্য, সুভাষবাবু পেশায় স্কুল শিক্ষক ছিলেন। অবসরের পর মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন তিনি ও তাঁর স্ত্রী।
এভাবে যে আচমকা মৃত্যু হতে পারে, তা ভেবে উঠতে পারছেন না মৃতের পরিবারের সদস্যরা। পাল পরিবারের জামাই দেবাশিস বণিক জানান, ‘ফ্ল্যাটের নীচেই মেলা হচ্ছিল। সেখানেই গিয়েছিলেন। ওখানে যে এইরকম ঘটনা হবে, ভাবতে পারিনি।’ সুভাষবাবু ভাই ললিত পাল জানান, ‘দাদার শ্বাসকষ্ট ছিল। দাদার প্রচণ্ড গরমে শ্বাসকষ্ট হয়েই মৃত্যু হয়েছে। দুদিন আগেই পূর্বস্থলির বাড়িতে জামাইকে নিয়ে জামাইষষ্ঠী পালন করেছিলেন। এরপর আবার পানিহাটিতে ফিরে যান।’