প্রতিবছর দুর্গাপুজোর বিসর্জনের সময় ইছামতীর দুই তীরে দুই বাংলার মানুষের মিলন ঘটে। এরাজ্যে বসিরহাটের টাকিতে ইছামতী নদীতে বিসর্জন দেখার জন্য ভিড় জমান প্রচুর মানুষ। এবারও অন্যান্য বরের মতো বিসর্জনের সময় অনেক মানুষের ভিড় হয়েছে। সেই বিসর্জন দেখতে গিয়ে বাড়ি ফেরার পথে ঘটল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। ল্যাম্পপোস্টে সজরে ধাক্কা মারায় বাইক থেকে ছিটকে পড়ে মৃত্যু হল ৩ তরুণের। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে। মৃতদের বয়স ১৮ থেকে ২৩ বছরের মধ্যে। ৩ জনেই বাদুড়িয়ার আটুরিয়ার বাসিন্দা। স্বাভাবিকভাবেই একই এলাকায় ৩ জনের মৃত্যুতে স্থানীয়দের মধ্যে শোকের ছায়া নেমেছে।
আরও পড়ুন: মহেশতলায় পথ দুর্ঘটনায় দুই কিশোরের মর্মান্তিক মৃত্যু, ফিরহাদকে ফোন মুখ্যমন্ত্রীর
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম হল–রাজেশ দাস, শুভঙ্কর দাস এবং সহদেব দাস। একাদশীর রাতে বিসর্জন দেখে ফেরার সময় তাদের বাইকটি সজরে ল্যাম্পপোস্টে ধাক্কা মারে। তারফলে ৩ জনেই বাইক থেকে ছিটকে অনেকটাই দূরে পড়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে গোকুলনগর এলাকায়। বাইকটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ১১০০০ ভোল্টের ওই লাইট পোস্টে সজোরে ধাক্কা মারে। স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ তরিঘড়ি সেখানে পৌঁছে তাদের বসিরহাট স্বাস্থ্য জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, বাইকের গতি স্বাভাবিকের থেকে অনেক বেশি ছিল। সেক্ষেত্রে প্রতি ঘণ্টায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটারের কাছাকাছি গতি ছিল বাইকটির। তাছাড়া কারও মাথায় হেলমেট ছিল না।৩ যুবকের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরে হাসপাতালে পৌঁছন তাদের পরিবারের সদস্যরা। একসঙ্গে ৩ জনের মৃত্যুতে গ্রামবাসীদের মধ্যে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের পর পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, পুজোর মধ্যে কলকাতা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে। গতকাল রাত ৩টে নাগাদ দুর্গাপুরের পানাগড়ে ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে দুটি কন্টেইনারের ধাক্কায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। দুটি কন্টেইনারই দুর্গাপুর থেকে পানাগড়ের দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় একটি কন্টেইনারের পিছনে গ্যাসের কন্টেইনার ধাক্কা মারে। ঘটনায় গাড়ির মধ্যে আটকে পড়েন চালক। শেষে গ্যাস কাটার দিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চালকের মৃত্যু হয়।