একেই বলে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড়। আমফানের ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা স্ক্রুটিনি করতে গিয়ে হুগলির গরলগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০২ জনের মধ্যে বাদ পড়ল ৯১ জনের নাম অর্থাৎ ১০২ জনের ওই তালিকায় ঝড়ে প্রকৃতপক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন মাত্র ১১ জন। তবে এই ১০২ জন ছাড়াও ইচিমধ্যে ১৭ জন ক্ষতিপূরণের ২০,০০০ টাকা পেয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন ওই পঞ্চায়েতের প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহর স্ত্রী।
দিন কয়েক আগে হুগলির চণ্ডীতলা ২ নম্বর ব্লকের গরলগাছা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে ঘূর্ণিঝড় আমফানের ক্ষতিপূরণের টাকা বিলি দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। জানা যায়, পঞ্চায়েত প্রধান নরেন্দ্রনাথ সিংহের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে টাকা। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে তৃণমূলের অন্দরেই। ঘরে বাইরে চাপের মুখে পড়ে ‘ভুল হয়ে গেছে বিলকুল’ বলে টাকা ফেরত দেওয়ার প্রস্তাব দেন পঞ্চায়েত প্রধান।
পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি ছিল, তাঁর স্ত্রীর ধূপকাঠি তৈরির কারখানা রয়েছে। ঝড়ে সেই কারখানার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বাড়ির কোনও ক্ষতি হয়নি। যদিও তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয় এই সব ছেঁদো যুক্তি মানা হবে না।
এর পরই গোটা তালিকা খতিয়ে দেখার সিদ্ধান্ত নেন বিডিও কৃষ্ণচন্দ্র মুন্ডা। তাতে দেখা যায়, ১০২ জনের তালিকায় ৯১ জনের নামই ভুয়ো। তাদের বাড়ির কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।
ওদিকে পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি, সরকারি নিয়ম জানা ছিল না। তাই দ্রুত তালিকা তৈরি করতে গিয়ে কিছু ভুলভ্রান্তি হয়েছে। তা সংশোধন করে নতুন তালিকা পাঠানো হয়েছে।