উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল। ব্লাড ব্যাঙ্কের সামনে লম্বা করিডর। সেখান দিয়েই বন্ধুর মাকে এমআরআই করিয়ে ফিরছিলেন চ্যাংবাবান্ধার বাসিন্দা এক যুবক। আচমকাই কুকুরের মুখে একটি প্যাকেট দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। এরপর কাছে গিয়ে তিনি দেখেন সেটি আদতে রক্ত ভর্তি একটি প্যাকেট। এদিকে তাঁরা গোটা ঘটনাটি ভিডিও করেন। এরপরই এনিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
রোগীর পরিজনদের দাবি কোভিড পরিস্থিতিতে বিভিন্ন হাসপাতালেই রক্তের হাহাকার চলছে। প্রিয়জনের জন্য এক ইউনিট রক্ত চেয়ে হন্যে হয়ে ঘুরছেন অনেকেই। অথচ ব্লাড ব্যাঙ্কের পাশের জঞ্জালে পড়ে রয়েছে রক্ত ভর্তি পাউচ। এদিকে এই ঘটনা দেখেই রোগীর পরিজনদের মধ্যে ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। প্রশ্ন উঠছে এগুলি যদি ব্যবহারযোগ্য রক্ত হয়ে থাকে তবে তা কীভাবে ব্লাড ব্যাঙ্কের বাইরে এল? অন্যদিকে কোনও কারণে রক্ত নষ্ট হয়ে গেলে সেটাও নষ্ট করার নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। কেন সেই নিয়মকে এভাবে বুড়ো আঙুল দেখানো হল? উত্তরবঙ্গ মেডিক্যা কলেজ ও হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কে দালালদেরও দাপট রয়েছে। কিন্তু এই ঘটনার পেছনে দায়ী কারা? রক্তদানের সঙ্গে যুক্ত স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোও এনিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
চ্যাংরাবান্ধার ওই বাসিন্দা জানিয়েছেন, আমার এক বন্ধুর মা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এমআরআই করিয়ে বন্ধুর মাকে নিয়ে ফিরছিলাম। সেই সময় দেখি একটি কুকুরের মুখে লাল মতো কিছু একটা রয়েছে। তবে কুকুরটা মুখ থেকে প্যাকেটটি ফেলার পর বুঝতে পারলাম ওটা রক্তের প্যাকেট। এরপর দেখি সামনেই ব্লাড ব্যাঙ্ক। ওই ঘরের পাশে দেখি অনেকগুলি রক্তের প্যাকেট পড়ে রয়েছে। হাসপাতালের সুপার ইন্দ্রজিত সাহা জানিয়েছেন, তাজা রক্তের পাউচ এভাবে বাইরে পড়ে থাকার কথাই নয়। কুকুরের মুখে যাওয়ারও কথা নয়। আমি তদন্ত করে দেখছি।