রাজ্যজুড়ে একের পর এক ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের অভিযোগ উঠে আসছে। এবার গৃহবধূকে ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠল মেসোমশাইয়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের। প্রথমে লোকলজ্জার ভয়ে কাউকে কিছু জানাতে পারেননি ওই গৃহবধূ। পরে কোনওভাবে সাহস জুগিয়ে থানায় গিয়ে মেসোমশাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পাওয়ার পরেই পুলিশ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, নির্যাতিতা গৃহবধূর পাশের বাড়িতে থাকতেন অভিযুক্ত মেসোমশাই। দুই পরিবারের মধ্যে সুসম্পর্ক ছিল। শুধু তাই নয় মাঝেমধ্যেই মেসোমশাইয়ের জন্য রান্না করা সবজি বা তরকারি দিয়ে আসতেন গৃহবধূ। এককথায় মেসোমশাইকে বাবার মতোই দেখতেন গৃহবধূ। কিন্তু, তাকে যে বৌমার নজরে দেখতেন না বা মেসোমশাইয়ের দীর্ঘদিন ধরেই যে তার যৌন আকর্ষণ রয়েছে তা জানা ছিলনা গৃহবধূর। অভিযোগ, ঘটনাটি ঘটেছে গত শনিবার। নির্যাতিতা বাড়িতে একাই থাকেন। তার স্বামী কর্মসূত্রে ভিন রাজ্যে থাকেন।
নির্যাতিতার বয়ান অনুযায়ী, ওইদিন বাড়ি ফাঁকা থাকার সুযোগে অভিযুক্ত প্রৌঢ় তার বাড়িতে আসে। তা দেখে ঘরে নিয়ে গিয়ে বসেছিলেন ওই গৃহবধূ। কিন্তু, তখনও মেসোমশাইয়ের উদ্দেশ্য তার জানা ছিল না গৃহবধূর। এরপর আচমকাই মেসোমশাই বৌমার উপর চড়াও হয়। তার হাত চেপে ধরে এবং নিজের যৌন লালসার কথা জানায়। তাতে রাজি না হওয়ায় বৌমাকে জোর করে ধর্ষণ করেন ওই প্রৌঢ়। ঘটনায় গতকাল সোমবার মেসোমশাইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন গৃহবধূ। তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে হাসনাবাদ থানার পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে বসিরহাট আদালতে তোলা হলে তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক।