আলিপুরদুয়ারের একটি স্কুলের বেহাল দশা। স্কুলের বারান্দায় কোনও ছাউনি নেই, অথচ সেই বারান্দাতে বসে মিড ডে মিল খেতে হচ্ছে ছাত্রছাত্রীদের। বর্ষার সময় যেমন মাঝেমধ্যেই ছাত্রছাত্রীদের জলে ভিজেই মিড ডে মিল খেতে হচ্ছে, তেমনি গ্রীষ্মের সময় বারান্দায় বসে মিড ডে মিল খেতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। সরকারের কাছে মেরামতির জন্য আবেদন জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। এই পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের কাছ থেকে চাঁদা তুলে স্কুল বাড়ি মেরামত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আলিপুরদুয়ারের ২ নম্বর ব্লকের মধ্য-পারোকাটা নতুন প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, এই স্কুলে ১৫৬ জন ছাত্রছাত্রী রয়েছে। স্কুলের ৫ টি ঘরের মধ্যে একটি ঘর পুরোপুরি ক্লাস করার অযোগ্য হয়ে পড়েছে। বাকি চারটে ক্লাসে কোনওভাবে পড়তে হয় পড়ুয়াদের। এ বিষয়ে এক অভিভাবকের অভিযোগ, স্কুলের ৭৫ ফুট বারান্দার ছাউনি ঝড়ে উড়ে গিয়েছিল। দেড় বছর ধরে এরকম অবস্থা। এর আগে প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি।
আলিপুরদুয়ার জেলার প্রাথমিক স্কুল শিক্ষা পর্ষদের চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মন জানিয়েছেন, ‘জেলার ১৫ টি স্কুল মেরামতের প্রয়োজন রয়েছে। তবে কেন্দ্র ১০০ দিনের টাকা দিচ্ছে না বলে সেগুলি মেরামত করা হচ্ছে না। এখন সরকারি ফান্ড নেই।’ যদিও স্কুলের এই অবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। আলিপুরদুয়ারের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মিঠু দাস বলেন, ‘রাজ্য সরকার দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে। এখন পুরোপুরি কেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।’