এবার আক্রমণ নেমে এলো মহিলা রেলকর্মীর উপর। একেবারে রেল আবাসনে ঢুকে মহিলা রেলকর্মীকে অস্ত্র ঠেকানো হল। তারপর তাঁর সোনার গয়না লুঠ করা হলো। এমনকী শ্লীলতাহানি পর্যন্ত করল এক দুষ্কৃতী! এই ঘটনায় এখন রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দুর্গাপুরের অণ্ডাল থানার রেল কলোনি এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, এক দুষ্কৃতী রেল আবাসনে ঢুকে পড়ে। তারপর সুপর্ণা মিস্ত্রি নামে রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মরত মহিলার ফ্ল্যাটে জোর করে ঢুকে অস্ত্র ঠেকায়। প্রাণে মেরে ফেলার ভয় দেখিয়ে সোনার গয়না লুঠ। এমনকী ওই দুষ্কৃতী মহিলার শ্লীলতাহানি করে বলেও অভিযোগ। মুখোশ পরে থাকায় ওই দুষ্কৃতীর মুখ চেনা যায়নি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অণ্ডাল থানার পুলিশ।
এই ঘটনার পর পুলিশকে দেওয়া সুপর্ণার বয়ান, বুধবার রাত ৯টা নাগাদ বেডরুমে বসে তিনি কাজ করছিলেন। হঠাৎ ঠাকুরঘরের আলো বন্ধ হয়ে যায়। তারপর বারান্দার আলোও বন্ধ হয়ে যায়। তখন তিনি এগিয়ে গেলে দেখেন, অন্ধকারে একজন মুখোশ পরে হামাগুড়ি দিয়ে আসছে। ওই দুষ্কৃতী ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাঁর গলায় ঠেকায় এবং আলমারি খুলতে বলে। সুপর্ণা দেবী ভয়ে আলমারি খুললে সোনার একটি চেন, একটি সোনার আংটি ও একজোড়া শাখা বাঁধানো বের করে নেয়। আর চম্পট দেয়।
জানা গিয়েছে, ওই দুষ্কৃতী তাঁকে শারীরিক নিগ্রহ করে বলেও অভিযোগ। দুষ্কৃতী তাঁকে টানাটানি করে জামাকাপড় ছিঁড়ে দেয়। তাঁর দুই হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতও করে। সুপর্ণাদেবী চিৎকার করে প্রতিবেশীদের ডাকেন। তখন পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় ওই দুষ্কৃতী। অন্ডাল থানার পুলিশ সুপর্ণার বাড়ি পরিদর্শন করে দুষ্কৃতীর খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে।