এবার যুবককে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল। গুলির শব্দে কেঁপে ওঠে বিরোধী দলনেতার বিধানসভা এলাকা। পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দীগ্রামে রাতের অন্ধকারে এই গুলি চালানো হয় বলে খবর। আর তাতেই আঁতকে ওঠেন গ্রামবাসীরা। আজ, বুধবার সকালে বাড়ির পাশের রাস্তা থেকে উদ্ধার হয় ওই যুবকের মৃতদেহ। তবে কী কারণে এই খুন? তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নন্দীগ্রাম ১ নম্বর ব্লকের ৪ নম্বর অঞ্চলের ডি জামতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।
ঠিক কী ঘটেছে নন্দীগ্রামে? স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত যুবকের নাম দিব্যেন্দু মণ্ডল (৪২)। তাঁর বাড়ি নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ডি জামতলায়। মঙ্গলবার মাঝরাতে গুলির শব্দ কানে আসে। রাজনৈতিক হিংসা ভেবে কেউ বাড়ি থেকে বের হয়নি। কিন্তু বুধবার সকাল হতেই সবাই দেখতে পান রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন দিব্যেন্দু। তাঁকে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে আনা হলেও চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে তমলুক জেলা হাসপাতালে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, এই যুবক এলাকায় বেশ পরিচিত মুখ। তবে ইদানিং তাঁর বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। এই যুবক চাকরি দেওয়ার নাম করে এলাকার অনেকের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়েছিলেন। যদিও এই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ হয়নি। তবে এই ঘটনার পর তদন্ত শুরু করেছে নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ। চাকরি দিতে না পারার জন্যই কি খুন? নাকি নেপথ্যে অন্য কিছু রয়েছে। তা নিয়ে তৈরি হয়েছে ধোঁয়াশা। যদিও নিহত যুবকের ভাই বলেন, ‘দাদা আসলে কী কাজ করত, আমরাও জানি না। সাইকেল নিয়ে বাড়িতে ঢুকত আবার বেরিয়ে যেত। পাড়ার লোকের কাছ থেকেই যতটুকু শুনেছি, তাতে সে পরোপকারী ছিল। একটা অফিস রয়েছে। দাদা সেখানে গিয়ে বসত।’
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, এই ঘটনার পিছনে কোনও আক্রোশ থাকতে পারে কিনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। শীঘ্রই গোটা বিষয়টা স্পষ্ট হবে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় যুবক দিব্যেন্দু কাজে বেরিয়েছিলেন। রাতে ফিরে না আসায় পরিবারের সদস্যরা খোঁজ শুরু করেন। হঠাৎই ওই এলাকার বাসিন্দারা মাঝরাতে গুলির শব্দ শুনতে পান। সকালে এলাকায় দেখা যায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দিব্যেন্দু মণ্ডল পড়ে আছেন। তারপর তাঁকে উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো যায়নি।