দক্ষিণ খয়েরবাড়ি মানেই সবার আগে সকলের মনে পড়ত রাজার কথা। গত সোমবার মৃত্যু হয়েছে রাজার। বেশ মর্যাদার সঙ্গেই রাজাকে সৎকার করেছে বনদফতর। বনদফতরের কর্তারা, প্রশাসনিক আধিকারিকরা ফুল নিবেদন করেছিলেন রাজার শরীরে। এদিকে রাজা চলে যাওয়ার পরেই শূন্য হয়ে গিয়েছে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্য়াঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্র। বন দফতর সূত্রে খবর, রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আর একটিও থাকল না দক্ষিণ খয়েরবাড়ি ব্যাঘ্র পুনর্বাসন কেন্দ্রে। তবে এবার বনদফতর নতুন করে বাঘের খোঁজ চালাচ্ছে।
এদিকে এর আগে দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে সব মিলিয়ে ২০টি বাঘ ছিল। বিভিন্ন জায়গা থেকে পুনর্বাসন পেয়েছিল তারা। কিন্তু কালক্রমে একে একে মারা যায় তারা। শেষ ছিল রাজা। সেটিও চলে গেল। এবার কয়েকটি চিতাবাঘ আছে এই কেন্দ্রে। সেক্ষেত্রে শূন্যস্থান পূরণ করতে চাইছে বনদফতর।
কিন্তু বাঘ আনা বললেই তো আনা নয়। সাধারণত সার্কাস বা অন্য কোথাও জখম হয়ে যাওয়া বাঘেদের রাখা হত এই পুনর্বাসন কেন্দ্রে। তবে এবার রাজার জায়গায় অন্য বাঘ আনার চেষ্টা করছে বনদফতর। তবে এক্ষেত্রেও সেন্ট্রাল জু অথরিটির অনুমোদন প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে এবার জু অথরিটির কাছে চিঠি পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে বনদফতর। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকও এনিয়ে বিশেষ উদ্যোগ নিচ্ছেন।
সূত্রের খবর, উত্তরবঙ্গে পর্যটনের প্রসারে বার বার জোর দিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে দক্ষিণ খয়েরবাড়ি পর্যটকদের আকর্ষণের অন্যতম কেন্দ্রস্থল। আবার রাজার টানেই পর্যটকরা ছুটে যেতেন দক্ষিণ খয়েরবাড়িতে। কিন্তু সেই রাজাই আর নেই।