কেন্দ্রীয় সরকার পাহাড় সমস্যার স্থায়ী সমাধান চায়। সম্প্রতি পাহাড় নিয়ে ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের পর এই কথা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। নভেম্বর আরও এর দফা বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেই বৈঠকে রাজ্য সরকারের উচ্চ পদস্থ আধিকারিকদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। গত মঙ্গলবার ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলেছে এই বৈঠক। বৈঠক ইতিবাচক বলেই দাবি দার্জিলিঙয়ের সাংসদ রাজু বিস্তের।
কিছুদিন আগেই দার্জিলিঙয়ে পাহাড় সমস্যা সমাধানের জন্য বৈঠক ডাকেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ। শাহের ডাকে সাড়া দিয়ে বৈঠকে হাজির ছিলেন দার্জিলিঙের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত সহ গোর্খা প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি এই বৈঠকে হাজির ছিলেন রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকার পাহাড়ের সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের কথাই শুনেছে। নভেম্বরে দ্বিতীয় দফায় আলোচনা হবে। সেই বৈঠকে রাজ্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। পাহাড়ে সার্বিক উন্নয়ন ও বিকাশ মোদী সরকারের কাছে প্রধান লক্ষ্য। জানা গিয়েছে, দার্জিলিঙ পাহাড় ও তরাই এলাকায় যে সব উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ বসবাস করেন, তাদের যাতে তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের মর্যাদা দেওয়া যায়, সেবিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী নভেম্বর মাসে ফের বৈঠক ডাকা হয়েছে। ফলে আলোচনার অগ্রগতি এখন কোন দিকে যায়, সেদিকে তাকিয়ে রয়েছে ওয়াকিবহাল মহল।
কেন্দ্রের ডাকা এই বৈঠক প্রসঙ্গে দার্জিলিঙয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্ত জানান, আলোচনা খুবই সদর্থক হয়েছে। এর আগে ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে পাহাড় সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়নি। এটা খুবই ঐতিহাসিক ঘটনা। বিনা বনধ ডেকে এই ধরনের বৈঠক খুবই কম হয়েছে। উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচন থেকে পাহাড়ে টানা তিনবার জয় পায় বিজেপি। গত লোকসভা নির্বাচনেও পাহাড়ের স্থায়ী সমস্যা সমাধানের কথা বিজেপির ইস্তাহারে বলা ছিল। কিন্তু কোনও সমস্যার সমাধান হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিজেপির কাছেও এখন একটা চ্যালেঞ্জ পাহাড়ে স্থায়ী সমাধান বের করা। তবে জানা যায়, এবারের বৈঠকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার কোনও প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ করা হয়নি।