পঞ্চায়েত সদস্য বা পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে ১০০ দিনের কাজ থেকে শুরু করে অন্যান্য সরকারি প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ প্রথম নয়। এবার রাতের অন্ধকারে পুকুর কেটে মাটি চুরির অভিযোগ উঠল পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর বিরুদ্ধে। আর সেই দুর্নীতির দৃশ্য মোবাইলে ক্যামেরা বন্দি করায় এক শ্রমিককে ব্যাপক মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি মালদার চাঁচল ২ নম্বর ব্লকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের। তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান মাসতারা বিবির স্বামী হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলেছেন ওই শ্রমিক রফিকুল ইসলাম।
শ্রমিকদের অভিযোগ, জব কার্ড থাকা সত্ত্বেও তাদের ১০০ দিনের কাজ দেওয়া হচ্ছে না। প্রধানের লোকজন রাতের অন্ধকারে জেসিবি, ট্রাক্টর প্রভৃতি দিয়ে পুকুর খনন করে মাটি তোলার কাজ করছে। এনিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে জানালেও কোনও কাজ হয়নি। তার কথা বিশ্বাস করতে চাননি পঞ্চায়েতের অন্যান্য সদস্যরা। তখন রাতের অন্ধকারে পুকুর খননের সেই দৃশ্য গোপনে মোবাইলে ছবি তোলেন ওই শ্রমিক। তাতেই প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ হয়ে প্রধানের লোকজন ওই শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। কোনওভাবে সেখান থেকে পালিয়ে বাঁচেন ওই শ্রমিক।
পরে চাঁচল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তিনি। এর পাশাপাশি মহকুমা শাসক এবং বিডিওর কাছে তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। তার অভিযোগ, তাকে শুধু মারধরই নয়, তার মোবাইল ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়। এ বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বিজেপি। যদিও এই অভিযোগ মানতে রাজি নন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। এলাকায় প্রভাবশালী তৃণমূল নেতা হিসেবে পরিচিত ওই পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামী। তার বক্তব্য, তাকে ফাঁসানোর জন্য এরকম মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে।