গরুপাচার কাণ্ডে গ্রেফতার বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে ঘিরে ফের উঠল ‘চোর চোর’ স্লোগান। শনিবার আসানসোল আদালতের পথে তাঁকে ফের শুনতে হয় চোর চোর স্লোগান। এদিন পশ্চিম বর্ধমানের সাতগ্রামে কেন্দ্রীয় সরকারের ট্রানজিট হাউজ থেকে বেরনোর সময় অনুব্রতকে উদ্দেশ করে ‘চোর চোর’ ও ‘গরুচোর’ স্লোগান দেন স্থানীয় যুবকরা।
শনিবার সকালে আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়ে আসানসোলের পথে রওনা হন সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা। আসানসোল ঢোকার কিছু আগে সাতগ্রামে কেন্দ্রীয় সরকারি ট্রানজিট হাউজে অনুব্রতকে নিয়ে ঢোকে সিবিআইয়ের কনভয়। সিবিআই সূত্রের খবর, আসানসোল আদালতে শুনানি শেষ হতে সময় লাগতে পারে। তাই ডায়াবেটিসের রোগী অনুব্রতকে আগে থেকেই দুপুরের খাবার খাইয়ে নেন তাঁরা। খাওয়ান ওষুধ। এর পর বেলা ১২.১৫ মিনিট নাগাদ ট্রানজিট হাউজ থেকে বেরোয় কনভয়। বাইরে অনুব্রতকে দেখার জন্য অপেক্ষা করছিলেন বহু মানুষ। তখনই অনুব্রতকে গাড়ির ভিতরে দেখতে পেয়ে ‘চোর চোর’ ও ‘গরুচোর’ বলে স্লোগান দিতে থাকেন যুবকরা। আসানসোল আদালতে ঢোকার মুখেও ওঠে একই রকম ‘চোর চোর’ স্লোগান।
এক যুবক বলে ওঠেন, ওই দেখ চোর যাচ্ছে। অন্য জানতে চান, কই কই। তখন সেই যুবক বলেন, ওই তো গাড়ির ভিতরে।
এর জেরে ট্রানজিট হাউজের গেটের সামনে সাময়িক উত্তেজনা তৈরি হয়। তবে তাতে সিবিআইয়ের কনভয় থামেনি। অনুব্রতকে নিয়ে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে আসানসোলের দিকে রওনা দেয় কনভয়।
শনিবারই শেষ হচ্ছে অনুব্রত মণ্ডলের ১০ দিনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ। এদিন ফের তাঁকে আসানসোল আদালতে পেশ করবে সিবিআই।