স্কুলের পোশাকের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় ছাত্রীর মা কে কটূক্তি তৃণমূল বিধায়কের

এর পর ওই অভিভাবক সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘আমাকে তো উনি বলতেই দিলেন না। আমাদের যে পোশাক দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের। ওই পোশাক পরিয়ে মেয়েদের রাস্তায় বার করা যায় না।

অসিত মজুমদার।

পোশাক ও পরিষেবার মান নিয়ে প্রশ্ন তোলায় অভিভাবকদের কটূক্তি করার অভিযোগ হুগলির বিধায়ক অসিত মজুমদারের বিরুদ্ধে। শনিবার হুগলি গার্লস স্কুলে ‘মুখোমুখি বিধায়ক’ অনুষ্ঠানে ঘটে এই ঘটনা। অভিভাকদের একাংশের দাবি, সরকারের তরফে যে নীল – সাদা পোশাক দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের। একথা শুনেই মেজাজ হারান বিধায়ক।

এদিনের বৈঠকে এক ছাত্রীর মা প্রশ্ন করেন, কেন দীর্ঘদিনের ঐতিহ্য ভেঙে নীল সাদা পোশাক দেওয়া হল স্কুলের ছাত্রীদের? একথা বলতেই তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠেন অসিতবাবু। তিনি বলেন, ‘আমি তোমার সঙ্গে বিতর্ক করব না। তোমার না পোশালে এখান থেকে নিয়ে চলে যাও। আপনি বড় বিপ্লবী, বুঝতে পেরেছি। আপনি বসুন। আমি আপনার কথা শুনব না’।

এর পর ওই অভিভাবক সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিয়ে বলেন, ‘আমাকে তো উনি বলতেই দিলেন না। আমাদের যে পোশাক দেওয়া হয়েছে তা অত্যন্ত নিম্নমানের। ওই পোশাক পরিয়ে মেয়েদের রাস্তায় বার করা যায় না। এর আগেও সরকার পোশাক দিয়েছে, সেই পোশাক পরিয়েছি। পোশাকের মান ভালো হলে পরাব না কেন?’

সঙ্গে অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের মিড ডে মিল অত্যন্ত নিম্নমানের। ছাত্রীরা খেতে চায় না। স্কুলের ক্লাসরুম ও শৌচাগার অপরিচ্ছন্ন। স্কুলের রক্ষণাবেক্ষণবাবদ বছরে প্রত্যেক ছাত্রীর কাছ থেকে ২০০ টাকা নেওয়া হয়। কিন্তু ক্লাসরুম ধুলো ঝুলে ভর্তি। সেই ক্লাসরুম আবার পরিষ্কার করানো হয় ছাত্রীদেরই দিয়ে।