এবার শিশুদের ইংরাজি ও গণিতে পোক্ত করার দায়িত্ব বর্তাল সিভিক ভলান্টিয়ারদের ওপর। এমনই পরিকল্পনা করেছে বাঁকুড়া জেলা পুলিশ। সেখানে শিশুদের গণিত ও ইংরাজি পড়াবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। পুলিশের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনায় সরব হয়েছেন শিক্ষক থেকে শিক্ষাবিদরা। বিরোধীদের দাবি, শিক্ষাব্যবস্থা চালাতে না পারলে মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দিন মমতা।
বুধবার এক সাংবাদিক বৈঠকে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তিওয়ারি বলেন, ‘প্রতিদিন স্কুল শেষের পর নির্ধারিক স্কুলগুলিতে ক্লাস নেবেন সিভিক ভলান্টিয়াররা। এজন্য জঙ্গলমহলের ৫টি থানা এলাকার ৫টি স্কুল ও অন্যান্য থানা এলাকায় ১২৪টি স্কুলকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৫০ জন সিভিক ভলান্টিয়ারকে চিহ্নিত করা হয়েছে’। অঙ্কুর নামে এই প্রকল্পের কথা জানিয়ে জেলাশাসককে চিঠিও দিয়েছেন পুলিশ সুপার।
পুলিশের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বাঁকুড়ার সাংসদ তথা প্রখ্যাত চিকিৎসক সুভাষ সরকার বলেন, ‘সিভিক ভলান্টিয়াররা শিশুদের ইংরাজি আর অংক শেখাবে এটা একবিংশ শতকে পশ্চিমবাংলার লজ্জা। এখানে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি, শিক্ষক নিয়োগ হচ্ছে না। সরকার শিক্ষাব্যবস্থা চালাতে না পারলে দায়িত্ব নিয়ে পদত্যাগ করুক’।
সিপিএম নেতা শমীক লাহিড়ি বলেন, ‘এমনিতেই স্কুল শিক্ষকের চাকরি বিক্রি করেছে। অসংখ্য স্কুলে শিক্ষক নেই। বহু প্রাথমিক স্কুল রয়েছে যেখানে একজনই শিক্ষক রয়েছেন। আর এখন সিভিক ভলান্টিয়ার দিয়ে লেখাপড়া? কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন শিক্ষানীতি সরকারি শিক্ষাব্যবস্থাকে তুলে দেওয়ার উদ্দেশে তৈরি করা হয়েছে। সেই লক্ষ্যে সামিল তৃণমূলও।’
রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে সপিবারে জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। আদালতের নির্দেশে বহিষ্কৃত ভুয়ো শিক্ষকরা। সেই ঘাটতিই কি পূরণ করতে সিভিক ভলান্টিয়ার বাহিনীকে শিক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ করছে রাজ্য সরকার।