বেলডাঙা বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্ত করছিল এনআইএ। অবশেষে চার্জশিট জমা দিল এনআইএ। এই বিস্ফোরণের ঘটনায় তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল রাজ্য–রাজনীতি। তা নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয়েছিল। এই ঘটনায় একজনের মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছিল। তবে এই ঘটনায় জড়িয়ে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের নাম। বিরোধীদের চাপে এবং আদালতের রায়ে শুরু হয় এনআইএ তদন্ত। এই চার্জশিটে নাম রয়েছে মোট ৭ জনের। তাঁদের মধ্যে একজন তৃণমূল কংগ্রেস নেতা বলে খবর। সুতরাং শীতের মরশুমে এই নিয়ে সোচ্চার হবেন বিরোধী নেতারা।
এদিকে ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে তীব্র বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার রামেশ্বরপুর। এই ঘটনা নিয়ে আলোড়ন পড়ে যায়। কারণ এই বিস্ফোরণের জেরে মৃত্যু হয়েছিল একজনের। এখানে মৃতের সংখ্যা কম থাকলেও বিস্ফোরণের তীব্রতা ছিল মারাত্মক। যা নিয়ে বিরোধীরা মাঠে নেমে পড়েন। গত অক্টোবর মাসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নির্দেশে এই বিস্ফোরণের তদন্তভার নিয়েছিল এনআইএ। তদন্তে নেমে তারা ঘটনাস্থলে যায়। আর বোমায় যে ধরনের সরঞ্জাম ব্যবহার হয়েছে তা সেখান থেকে হাতে পায়। ওই বিস্ফোরক গ্রেনেডের সমান বলে দাবি করে এনআইএ।
অন্যদিকে এনআইএ’র তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে প্রচুর নমুনা সংগ্রহ করেছিল। আর পুলিশ তার আগেই ৭৪টি গ্রেনেড উদ্ধার করেছিল। যেগুলি ওই তদন্তকারীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তারপর চলে নানা পরীক্ষা–নিরীক্ষা। এমন সরঞ্জাম কোথা থেকে এল, কোনও সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ যুক্ত কি না সেটা দেখতে তদন্ত শুরু করা হয়। এই মামলায় ইউএপিএ আইনের ধারা যুক্ত করতে চেয়ে আদালতে যায় এনআইএ। তখন আদালত থেকে মেলে অনুমতি। সেটারই আজ, মঙ্গলবার চার্জশিট জমা দেয় এনআইএ।
আরও পড়ুন: ‘রুপিয়া দো ইয়া গদ্দি ছোড়ো’, প্রধানমন্ত্রী–মুখ্যমন্ত্রীর দেখা করার আগে ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন তৃণমূলের
এছাড়া এই মামলায় অবশেষে মঙ্গলবার চার্জশিট জমা পড়তেই কৌতূহল শুরু হয়ে যায় আদালতের মধ্যেই। মুর্শিদাবাদ থেকে আসা মানুষজন খোঁজ করতে শুরু করে কাদের নাম আছে চার্জশিটে। এনআইএ যে চার্জশিট পেশ করেছে তাতে নাম রয়েছে— ইমদাদুল হক, সুখচাঁদ আলি, মনসুর আলি, মাসাদুল হক, হাবিবুর রহমান, তাহাবুল শেখ, ইসাউদ্দিন শেখ (প্রয়াত)। এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ১২০ বি, ২০১, ৩০৪ আইপিসি ৪, ৫, ৬ ইএস অ্যাক্ট ১৯০৮ এবং ১৮ ইউএপিএ ধারায় মামলা করা হয়েছে। এখন দেখার আর কতদূর জল গড়ায়।