গরু পাচারকারীদের দলে বাংলাদেশি সীমান্তরক্ষী বাহিনীর জওয়ান! এমনই চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে BSF-এর তরফে। সোমবার ভোর রাতে BSFএর গুলিতে মৃত্যু হয়েছে BGB-র এক জওয়ানের। BSF-এর তরফে জানানো হয়েছে, নিহত জওয়ান গরু পাচারকারী দলের সদস্য হতে পারেন।
বিসিএফের তরফে জানানো হয়েছে, সোমবার ভোর রাতে কুয়াশার সুযোগে ভারত থেকে কিছু মানুষ বাংলাদেশে গরু পাচারের চেষ্টা করছিল। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছন বিএসফ জওয়ানরা। কুয়াশার মধ্যেই পাচারকারীদের আক্রমণের মুখে পড়েন তাঁরা। তখনই আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হন বাহিনীর জওয়ানরা। গুলিতে লাগে এক বিজিবি জওয়ানের দেহে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে বনগাঁ জীবন রতন ধর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যায় BSF. সেখানে সোমবার সন্ধ্যায় তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। নিহত বিজিবি জওয়ান রইসুদ্দিনের দেহ এখনও বিএসএফের হেফাজতেই রয়েছে।
কিন্তু গরু পাচারকারীদের মধ্যে BGB জওয়ান এলেন কী ভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। বিএসএফের তরফে জানানো হয়েছে, সম্ভবত ওই জওয়ান পাচারকারীদের মদত দিচ্ছিলেন। পালটা বিজিবির তরফে জানানো হয়েছে, পাচারকারীরা সীমান্ত পেরোচ্ছে দেখে বিজিবিও তাদের তাড়া করে। এরই মধ্যে কুয়াশায় বাহিনী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন ১ জওয়ান। বেশ কিছুক্ষণ পর জানা যায় তিনি বিএসএফের গুলিতে আহত হয়ে ভারতের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পরে তাঁর মৃত্যু সংবাদ পৌঁছয়।
নিহত বিজিবি জওয়ানের দেহ বাংলাদেশি বাহিনীর হাতে তুলে দিতে ইতিমধ্যে তৎপরতা শুরু করেছে বিএসএফ। পূর্ণ মর্যাদায় তাঁর দেহ হস্থান্তর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ঘটনার তদন্ত দাবি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ।
কুয়াশার সুযোগে শীতকালে বাংলাদেশ সীমান্তে পাচারকারীদের তৎপরতা বাড়ে। এই প্রবণতা কমাতে সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় বড় বড় আলো লাগিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।