ভাঙড়ে বোমা কারখানার সঙ্গে যুক্ত অভিযোগে গ্রেফতার আমির আলি ওরফে ফিট্টুর পাশে দাঁড়ালেন স্থানীয় বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ফিট্টু বা আইএসএফের সঙ্গে বোমা কারখানার কোনও সম্পর্ক নেই। ফিট্টুকে ফাঁসানোর ও ISF বদনাম করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।
বুধবার রাতে ভাঙড়ের নাটাপুকুর এলাকায় নবিরুল মোল্লার বাড়িতে বোমা কারখানার খোঁজ পায় কাশীপুর থানার পুলিশ। গভীর রাতে বোমা বানানোর সময় নবিরুল ও তার ছেলেকে হাতেনাতে ধরে পুলিশ। উদ্ধার হয় ৫টি সকেট বোমা ও ১৫ কিলো বোমার মশলা। যা দিয়ে ৫০০টি বোমা বানানো সম্ভব বলে দাবি পুলিশের।
গ্রেফতারির পর নবিরুল জানায়, ISF-এর চাপে বোমা বাধ্য হয়ে বোমা বানাচ্ছিল সে। তাকে বোমা বানানোর বরাত দিয়েছিল ফিট্টু। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ফিট্টুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যদিও ISF-এর দাবি, ধৃত নবিরুল তৃণমূলকর্মী। মাস কয়েক আগেও বোমা বাঁধার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিল সে। তখন তাকে থানা থেকে ছাড়িয়ে নিয়ে আসে স্থানীয় তৃণমূল নেতারা। তার পর ফের বোমা বাঁধার কাজ শুরু করে নবিরুল।
গ্রেফতার দলীয় কর্মীর পাশে দাঁড়িয়েছে ভাঙড়ের ISF বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকি। তিনি বলেন, ‘ফিট্টু আমাদের কর্মী। স্থানীয় নেতারা আমাকে স্পষ্ট জানিয়েছেন, ফিট্টুর সঙ্গে বোমা বানানোয় অভিযুক্ত তৃণমূলকর্মীর কোনও যোগাযোগ নেই। ISF-এর সম্মান ভূলুণ্ঠিত করার জন্য এটা করা হয়েছে। কী ভাবে দোষ ISF-এর ঘাড়ে চাপানো যায় তার চক্রান্ত চলছে’।
ওদিকে ধৃতের দাবি, তাঁর সঙ্গে বোমা কারখানার কোনও যোগ নেই। ISF করায় ফাঁসানো হয়েছে তাঁকে।