ভোট গণনা শেষ হতেই রাজ্যের জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে তৃণমূলি তাণ্ডব। বুধবার রাতে সেই তাণ্ডবের শিকার হলেন উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের দিঘারী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি কর্মী শান্তনু মুখোপাধ্যায়। গভীর রাতে তৃণমূলি দুষ্কৃতীরা তাঁর বাড়িতে এসে ৩ রাউন্ড গুলি চালায় বলে অভিযোগ। সকালে অভিযোগ পেয়ে পুলিশ পৌঁছে একটি গুলির খোলা উদ্ধার করে। ঘটনায় তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি।
বনগাঁ পঞ্চায়েত সমিতির ২৭ নম্বর আসনের বিজেপি প্রার্থী সুশীল সরদারের এজেন্ট ছিলেন শান্তনুবাবু। বৃহস্পতিবার সকালে তিনি সাংবাদিকদের জনিয়েছেন, বুধবার রাত ১২টার পর তাঁর বাড়িতে এসে অকথ্য গালিগালাজ শুরু করে কয়েকটা তৃণমূলি দুষ্কৃতী। শান্তনুবাবু বাইরে বেরিয়ে মোবাইলে তাদের ছবি তুলতে গেলে বাড়ি লক্ষ্য করে পর পর ২ রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। হুমকি দেয়, এবার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছি, এর পর তোর বুক লক্ষ্য করে চালাব। এর পর বাড়ির পিছন দিকে গিয়ে আরও ১ রাউন্ড গুলি চালায় তারা। একটি বোমা ছোড়ে।
শান্তনুবাবু জানিয়েছেন, আমি বিজেপি করি। আমার প্রার্থী জিতেছে। তার পর থেকেই আমাকে লাগাতার হুমকি দিচ্ছে। কখনও বলছে দোকান খুলতে দেব না। বাড়ি এসে গুলি চালিয়ে হুমকি দিচ্ছে।
শান্তনুবাবুর বৃদ্ধা মা শঙ্করী মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘ভয়ানক আতঙ্কে আছি। আমার ছেলে বিজেপি করে বলে ওর ওপরে হামলা হয়েছে। আমার বাড়ির পিছনে থাকে তৃণমূল নেতা নিমাই দে দলবল নিয়ে এই হামলা করিয়েছে। আজকের রাতটা কী করে কাটবে তাই ভাবছি।’
খবর পেয়ে শান্তনুবাবুর বাড়িতে আসেন বিজেপির জেলা সভাপতি রামপদ দাসসহ বিজেপির প্রতিনিধি দল। বিজেপির দাবি, ওই পঞ্চায়েত সমিতিতে সহ সভাপতির পদ তপশিলি উপজাতির জন্য সংরক্ষিত। কিন্তু তৃণমূলের কোনও উপজাতি প্রার্থী জিততে পারেননি। তাই বিজেপি প্রার্থীর এজেন্টকে ভয় দেখিয়ে সুশীলবাবুকে তৃণমূলে যোগদান করাতে চাইছে তারা।
অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা। শান্তিপূর্ণ এলাকায় আগে কোনওদিন উশৃংখলতা হয়নি । বিজেপির পায়ের নীচে মাটি নেই বলে মিথ্যে কথা বলছে।