অযোধ্যার রামমন্দির নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন তারকেশ্বরের বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি রামেন্দু সিংহরায়। আর এই সুযোগটি হাতছাড়া করেনি বিজেপি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বিষয়টি নিয়ে রামেন্দুর বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছেন। তবে এখানেই থেমে থাকেননি। আরামবাগ থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। রামেন্দু অবশ্য নিজের অবস্থান থেকে সরে আসেননি। সুতরাং রামমন্দির নিয়ে লোকসভা নির্বাচনের প্রাক্কালে তেতে উঠেছে রাজ্য–রাজনীতি।
এদিকে হাতে আর পাঁচদিন। তারপরই আগামী ১০ মার্চ ব্রিগেডে জনগর্জন সভা রয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই প্রত্যেক জেলায় সভা–সমাবেশ হচ্ছে। তাই রবিবার প্রস্তুতি সভা হয় তারকেশ্বরে। সেখানে রামেন্দু সিংহরায় রামমন্দিরকে ‘অপবিত্র’ বলে দাবি করেন। রামেন্দুর বক্তব্যের ভিডিয়ো এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। (হিন্দুস্তান বাংলা ডিজিটাল ভিডিয়ো’র সত্যতা যাচাই করেনি) সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডলে পোস্ট করেন বিরোধী দলনেতা। সেই ভিডিয়ো–তে তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক রামেন্দু সিংহরায়কে বলতে শোনা যায়, ‘যে রামমন্দির তৈরি হয়েছে, আমি মনে করি ওটা অপবিত্র। ওই রামমন্দিরে ভারতবর্ষের কোনও হিন্দু যেন পুজো দিতে না যান। ওটা একটা শো–পিস তৈরি করা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নড্ডার সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন পবন সিং, প্রার্থীপদ থেকে সরে গিয়ে কথা দু’পক্ষের
অন্যদিকে এই মন্তব্য এখন ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। এক্স হ্যান্ডেলে তা পোস্ট করে শুভেন্দু লেখেন, ‘এটাই তৃণমূল কংগ্রেসের আসল প্রকৃতি। হিন্দুদের আক্রমণ করতে করতে তাদের দুঃসাহস বেড়ে গিয়েছে। এখন তারা হিন্দুদের পবিত্র পীঠস্থান, সেই মন্দিরকে ‘অপবিত্র’ আখ্যা দেওয়ার ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে। আমি শুধুমাত্র ওঁর এই অবমাননাকর বক্তব্যের তীব্র নিন্দা করেই বিরতি থাকছি না। এমন ঘৃণ্য বিবৃতি দিয়ে বিশ্বের হিন্দুদের অনুভূতিতে আঘাত হানার জন্য এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
এছাড়া শুভেন্দুর এক্স হ্যান্ডেলে এটা প্রকাশ করার পরই রামেন্দুর বিরুদ্ধে আরামবাগ থানায় এফআইআর করেন বিজেপির আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি ও রাজ্য সম্পাদক তথা পুরশুড়ার বিধায়ক বিমান ঘোষ। তাঁর বক্তব্য, ‘রামমন্দির নিয়ে তারকেশ্বরের বিধায়কের কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন। তার নিন্দা জানাচ্ছি। জেলার নানা জায়গায় তার প্রতিবাদও করা হবে।’ পাল্টা রামেন্দু বলেছেন, ‘এটা অগেও বলেছি, এখনও বলছি, পরেও বলব। এফআইআর করলে করুক। হিন্দু ধর্মে মন্দির প্রতিষ্ঠায় যাঁরা আমাদের পুরোহিত, তাঁরাই বিধান দেন। হিন্দু ধর্মের চার শঙ্করাচার্য বলেছিলেন, অসম্পূর্ণ মন্দিরে কোনও বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা যায় না। সেক্ষেত্রে হিন্দু ধর্মকে অপমান তো মোদী করলেন।’