একদিকে নৈহাটিতে যখন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বড় মা মন্দিরে পুজো দিলেন তখন অপরদিকে ইসকন মন্দিরে গোমাতার পুজো করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। দুটি ঘটনা আজ মঙ্গলবার ঘটেছে। রাজ্য–রাজনীতিতে এখন পুজো–উৎসব একটা বড় গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে উঠেছে। আজ পূর্ব মেদিনীপুরের মেচেদায় ইসকন মন্দিরে গোবর্ধন পুজো এবং অন্যকূট উৎসবের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানের উৎসবেই যোগ দেন বিরোধী দলনেতা। পুজোর আমেজে মেতে ওঠেন তিনি।
আজ বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন বিরোধী দলনেতা। তাই ইসকন মন্দিরে খঞ্জনি বাজিয়ে কীর্তন করতে দেখা গেল তাঁকে। পূর্ব মেদিনীপুরের অন্যান্য মন্দিরে তিনি নানা সময়ে পুজো দিয়ে থাকেন। এবার গোমাতার পুজো করতে দেখা যায় নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। তবে আগে কখনও মন্দিরে এসে কীর্তন করতে দেখা যায়নি তাঁকে। এবার প্রকাশ্যে সেটা দেখা গেল। এই পুজো দেওয়ার পরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘গো রক্ষা করার জন্য গোশালা দরকার। আমাদের গোশালা বাড়াতে হবে। নানা জেলাতে গোশালা থাকলেও পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় তেমন পরিমাণে গোশালা নেই।’
এদিকে বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। তাই এই পুজো পার্বণের মধ্যে দিয়েও একটা জনসংযোগ করছেন রাজনৈতিক নেতারা। সেখানে কেউ বাদ যাচ্ছেন না। খোদ অমিত শাহ মধ্যপ্রদেশের নির্বাচনী প্রচারে এসে বলছেন, বিজেপিকে জেতান বিনামূল্যে রাম মন্দির দর্শন করানো হবে। সুতরাং মন্দির–মসজিদের রাজনীতি অনেকে এসবের মধ্যে দেখতে পাচ্ছেন। যদিও মেচেদার ইসকন মন্দিরের প্রতিষ্ঠা থেকেই শুভেন্দু এখানকার কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত। এই বিষয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বৈষ্ণব সেবা করতে এলাম। চৈতন্যর পথ মেনে চলতে হবে। সনাতন মানে যার অন্ত নেই।’
আরও পড়ুন: ভাইফোঁটা নিলেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, প্রতিপদে চাকরিপ্রার্থীদের মঞ্চে
অন্যদিকে ইসকন মন্দিরে পুজো শেষ করে বেরিয়ে আসেন তিনি। তখন তাঁকে প্রশ্ন করা হয়। যদিও শুভেন্দু অধিকারী কোনও রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তর দেবেন না জানিয়ে দেন। তারপরও প্রেসিডেন্সি জেলে বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের জেলে না থাকার আবদার নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হয়। তখন খোঁচা দিয়ে শুভেন্দু সংবাদমাধ্যমের সামনে বলেন, ‘আমি পবিত্র জায়গায় এসেছি। চোর জোচ্চরদের নাম বলে কেন স্থানটি অপবিত্র করছেন।’