নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়লেন বাবুল সুপ্রিয়। আগে থেকেই তাঁকে রাজ্যে নিযুক্ত করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। যার জন্যই একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তাঁকে প্রার্থী করা হয়েছিল বাবুল সুপ্রিয়কে। কিন্তু তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয় নেতা অরূপ বিশ্বাসের কাছে বড় ব্যবধানে হেরে যান। তাই তিনি সাংসদ থাকলেন কিন্তু মন্ত্রিত্ব থাকল না। সেক্ষেত্রে সাংসদ হয়েই এখন কাজে মন দিতে হবে। তাঁর জায়গায় কে আসবেন সেটা এখনও জানা যায়নি।
বাবুল সুপ্রিয় দু’বারের জয়ী সাংসদ। আজই সন্ধ্যেবেলা কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসভায় রদবদল হবে। তার আগে একের পর এক উইকেট পড়ছে। পদত্যাগ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন, শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক এবং দেবশ্রী চৌধুরী। সেক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে বাংলা থেকে দু’জন মন্ত্রীই মন্ত্রিত্ব খোয়ালেন। তাহলে তাঁদের জায়গায় মন্ত্রী হবেন কারা? এই ক্ষেত্রে উঠে আসছে ৬ জনের নাম।
বাংলা থেকে মন্ত্রী হতে পারেন নিশীথ প্রামাণিক, লকেট চট্টোপাধ্যায়, শান্তনু ঠাকুর, সুরিন্দর সিং আলুহালিয়া, জগন্নাথ সরকার এবং দীনেশ ত্রিবেদী। তবে নিশীথ প্রামাণিক ও শান্তনু ঠাকুরের মন্ত্রিত্ব পাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি বলে মনে করছেন রাজনৈতিক কুশীলবরা। করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ এখনও পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। তার মধ্যেই স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের পদত্যাগ ভাবাচ্ছে সবাইকে। এছাড়া আসানসোলে বাবুলের বিরোধী গোষ্ঠী তৈরি হয়েছে। সেখান থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে নালিশও জমা পড়েছিল। এমনকী একুশের নির্বাচনের পর সেখানকার সংগঠনে ধস নেমেছে। নেতারা যোগ দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তখন বাবুলের টুইট করা ছাড়া আর কিছুই করার ছিল না।
বাবুল সুপ্রিয়র কাজকর্ম ইদানিং ভাল লাগছিল না কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের। তিনি নিজেই যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছিলেন। সবমিলিয়ে বাবুলকে মন্ত্রিত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। তবে পদত্যাগ করেছেন শ্রমমন্ত্রী সন্তোষ গাঙওয়ার। কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সদস্য থাওয়ারচাঁদ গেহলটকে কর্ণাটকের রাজ্যপালের পদে নিয়োগ করেছে কেন্দ্র। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ছেড়েছেন রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। পদত্যাগ করেছেন রসায়ন ও সার মন্ত্রী সদানন্দ গৌড়াও। সব মিলিয়ে বড় রদবদল হতে চলেছে দেশে।