এখন রাজ্য–রাজনীতিতে ডিসেম্বর তত্ত্ব অতীত। স্বয়ং শুভেন্দু অধিকারী এটাকে ক্লোজড চ্যাপ্টার বলে মানতে শুরু করেছেন। তবে জানুয়ারি মাস এখন প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠছে। এখন শাসক–বিরোধী দু’পক্ষই জানুয়ারি তত্ত্ব সামনে নিয়ে আসছে। তবে গত ৩ ডিসেম্বর কাঁথিতে শুভেন্দু অধিকারীর বাড়ির সামনে কলেজ মাঠের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখে ছিল দলের দরজা খুলে দেওয়ার হুঁশিয়ারি। আর সেটা ঘটলে বিজেপি ভাঙনের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। যদিও রবিবার দুর্গাপুরে তৃণমূল কংগ্রেসকেই কটাক্ষ করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ –সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
ঠিক কী বলেছেন দিলীপ ঘোষ? আজ, রবিবার দুর্গাপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ ঘোষ তৃণমূল কংগ্রেসের ছোট করে দরজা খোলা নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। এদিন মেদিনীপুরের সাংসদ বলেন, ‘স্বপ্ন দেখছে তৃণমূল। এই দল নিজেদের মধ্যে মারামারি করে শেষ হয়ে যাবে। বাংলায় অপশাসন চলছে, সুশাসনের আশা করাটা বাতুলতা ছাড়া আর কিছু নয়। শাসনই নেই তো সুশাসন কি হবে! যেভাবে মারামারি, কাটাকাটি চলছে তাতে দলটাই উঠে যাবে। নির্বাচন এলেই বোঝা যাবে কে কোথায় আছে।’
ঠিক কী বলেছিলেন অভিষেক? কাঁথির সভা থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ‘এই যে বলছে ডিসেম্বর ধামাকা, সরকার পড়ে যাবে। জানেন, আমি যদি দরজা খুলে দিই তাহলে বিজেপি দলটা বাংলায় থাকবে না। খালি আপনাদের ভাবাবেগকে সম্মান দিয়ে রেখেছি। দুঃসময়ে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা যেভাবে লড়াই করেছে, এই সরকারকে ক্ষমতায় এনেছে তাদের সম্মান দিয়ে আমি দরজা খুলছি না। যদি দরজা খুলি তাহলে এই বিজেপি দলটা থাকবে না। বলুন দরজা খুলব? আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় দরজাটা একটু খুলে দিই। আগামী সপ্তাহে খুলি? পাঁচ সেকেন্ডের জন্য। তারপর আবার বন্ধ করে দেব। আমি তো একটু ছোট্ট করে দরজাটা খুলতে চাই। কিন্তু অনেকে নিষেধ করছে। তবুও দরজাটা ছোট্ট করে খুলে দিই? যারা ভেতরে ঢুকবে, প্রায়শ্চিত্ত করবে।’
উল্লেখ্য, এরপরই তিনটি তারিখ ১২, ১৪ এবং ২১ যা শুভেন্দু অধিকারী দিয়েছিলেন তা মেলেনি। তারপর তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সাধারণ সম্পাজক কুণাল ঘোষ ২ জানুয়ারি তারিখ দিয়েছেন। এখন তা নিয়ে আতঙ্কিত বিজেপি। তাহলে কী পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে আবার ভাঙন? উঠছে প্রশ্ন। তৃণমূল কংগ্রেস নেতাদের দাবি, ডিসেম্বর না হলেও আগামী ২ জানুয়ারি, বড় কিছু ঘটতেই পারে। এখন দেখার জল কোনদিকে গড়ায়।