লোকসভা ভোট এগিয়ে আসতেই একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ পালটা অভিযোগ তুলে সরব হচ্ছে রাজনৈতিক দলগুলি আর এবার একেবারে বৌ চুরি করার অভিযোগ উঠল বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, বিজেপির পঞ্চায়েত প্রধান তৃণমূল নেতার বউ নিয়ে পালিয়েছেন। এমন অভিযোগকে ঘিরে বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে পথ অবরোধ করেন তৃণমূল নেতা স্বামী। পাশাপাশি থানাতেও অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনাটি নদিয়ার কৃষ্ণনগর লোকসভার অন্তর্গত দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের। এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।
আরও পড়ুনঃ বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক শিক্ষকের, সংসারে অশান্তি, সন্তানদের বিষ খাইয়ে আত্মঘাতী
জানা গিয়েছে, তৃণমূল নেতার স্ত্রী দোগাছি পঞ্চায়েতের সদস্যা এবং বিজেপির নেতা রন্টু সর্দার ওই পঞ্চায়েতের প্রধান। সেই সূত্রে পঞ্চায়েত প্রধানের প্রেমে পড়ে ঘর এবং দল দুই ছেড়েছেন পঞ্চায়েত সদস্যা। এই ঘটনায় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী অরবিন্দ মণ্ডল কোতোয়ালি থানায় অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি মন্ত্রীর কাছেও দ্বারস্থ হয়েছেন। অরবিন্দর অভিযোগ, বিজেপির প্রধান তাঁর স্ত্রীকে ভুল বুঝিয়ে দলবদল করতে বাধ্য করেছেন। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ না করায় শেষ পর্যন্ত তিনি অনুগামীদের নিয়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এই ঘটনার জন্য অবিলম্বে বিজেপির প্রধানকে গ্রেফতার করে স্ত্রীকে উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন তৃণমূল নেতা।
তাঁর অভিযোগ, বিজেপি প্রধানের পরিবার থাকা সত্ত্বেও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়েছেন। যদিও এই অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করেছেন বিজেপির প্রধান। তাঁর বক্তব্য, বিজেপি পঞ্চায়েত গঠনের পর থেকে তৃণমূল কাজ পাচ্ছে না। তাই চক্রান্ত করে তাঁর বদনাম করার জন্য এইসব রটানো হচ্ছে। এই অভিযোগ পুরোপুরি মিথ্যে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, অরবিন্দ পেশায় একজন সবজি বিক্রেতা। সেইসঙ্গে তিনি একজন তৃণমূল নেতাও। প্রতিদিন ভোরবেলায় তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে কলকাতায় এসে সবজির ব্যবসা করেন। এরপর রাতের ট্রেনে বাড়ি ফেরেন। এদিকে, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই পঞ্চায়েতটি বিজেপির দখলে আসে। তখন তৃণমূলের প্রতীকে জয়ী হয়েছিলেন অরবিন্দের স্ত্রী। গত ৪ মার্চ তিনি একইভাবে সবজি বিক্রি করতে গিয়েছিলেন কলকাতায়। বাড়িতে ফিরে দেখেন স্ত্রী নেই। এরপরে বিজেপি প্রধানের বিরুদ্ধে স্ত্রীকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেতা। স্বাভাবিকভাবে এমন ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।