রাজ্যে স্কুলগুলিতে ছাত্র-ছাত্রীদের পোশাক নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি হতেই শুরু হয়েছে বিতর্ক। রাজ্য সরকার নিজের ইচ্ছা স্কুলগুলির উপর চাপিয়ে দিয়ে স্কুলের স্বাধীনতা উপর হস্তক্ষেপ করছে বলে অভিযোগ তুলেছেন বিরোধীরা। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এ নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ জানাবেন বলেও জানিয়েছিলেন। এবার বিরোধীদের পাল্টা জবাব দিলেন কৃষি মন্ত্রী শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘ নীল সাদা রঙ চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে সেগুলি অর্বাচিনের মতো কথাবার্তা। এই রঙ কারও একার নয়, কোনও নির্দিষ্ট দলের রঙ নয়।’
রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ক্ষুদ্র ও মাঝারি কুটির শিল্প এবং বস্ত্র শিল্প দফতর স্কুল ইউনিফর্ম তৈরি করে সরবরাহ করবে। প্রাক-প্রাথমিক থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রদের দেওয়া হবে সাদা জামা এবং নীল রঙের প্যান্ট। প্রাক-প্রাথমিক থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্রীদের জন্য থাকবে সাদা জামা এবং নীল ফ্রক। তৃতীয় থেকে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীদের দেওয়া হবে সাদা জামা এবং নীল স্কার্ট। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রীদের দেওয়া হবে নিল সাদা সালোয়ার-কামিজও দোপাট্টা। সঙ্গে ছাত্রীদের নীল-সাদা শাড়ি। পকেটে বিশ্ব-বাংলা লোগো।
রাজ্য সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই বিতর্ক তৈরি হয়। শুভেন্দু অধিকারী বলেছিলেন, ‘স্কুলের স্বাধীনতার ওপর হস্তক্ষেপ করছে রাজ্য। যে স্কুলে যে পোশাক বিধি রয়েছে সেই পোশাক থাকাই উচিত। কেন্দ্রীয় সরকারের সমগ্র শিক্ষা মিশনের টাকায় রাজ্য সরকার তা করতে পারে না। আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের কাছে অভিযোগ জানাবো।’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মুহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘স্কুল বেসরকারিকরণ করা হচ্ছে অথচ পোশাককে সরকারিকরণ করা হচ্ছে! স্কুল বিল্ডিং বিক্রি হবে, শিক্ষক নিয়োগ হবে না আর পোশাকে দেখানো হবে বিশ্ব বাংলা!’