পঞ্চায়েত ভোটের দিন ইসলামপুর জাগির বস্তিতে খুন হন দুই ভাই। এই ঘটনার পোলিং বুথের ভিতরে ও বাইরের সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশের কাছে চেয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু আদালতে সিসিটিভি ফুটেজ জমা দিতে ব্যর্থ হয়েছে পুলিশ। তার হাইকোর্টের কাছে জানায় ফুটেজ হারিয়ে গিয়েছে। পুলিশের জবাবে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে আদালত।
হাইকোর্ট তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, এর আগের অর্ডার নিয়ে পুলিশ শুধু নিয়ম রক্ষা করেছে। আদালত গোপন জবানবন্দি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। এছাড়া ঘটনার দিনের সিসিভিটি ফুটেজ সংগ্রহ করার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। পুলিশ মৃতের স্ত্রীর গোপন জবাববন্দী নিলেও তিনি যাদের খুনে অভিযুক্ত করছেন, তাঁদেরকেই সাক্ষী করছে পুলিশ। সিসিটিভি ফুটেজ জোগাড় করলেও তা কাজে লাগাতে পারেনি পুলিশ। এমন কি নিজের মতো করে কেস সাজাতে পুলিশ অভিযোগকারীর বক্তব্যও খণ্ডাতে চেয়েছে।
একই পরিবারের দুই খুড়তুতো ভাই জমিরউদ্দিন এবং সামসুর হক ভোটের দিন বোমার আঘাতে মারা যায়। গোয়ালপুকুর থানার জাগির বস্তি এলাকায় এই ঘটনাটি ঘটে। এর মধ্যে সামসুর বুথের বাইরে রাস্তায় বোমার আঘাতে মারা যায় বলে জানা যায় বলে খবর।
(পড়ুন। কেন সুপারিশপত্র প্রত্যাহার, SSCর তৃতীয় হলফনামাতেও সন্তুষ্ট নয় হাইকোর্ট)
মামলায় আদালত বলে শেষ সুযোগ হিসাবে এসপিকে তদন্ত করতে বলা হচ্ছে। আগামী ৯ জানুয়ারি বিডিওকে জানাতে কেন পোলিং বুথের ভিতর ও বাইরের সিসিভিটি ফুটেজ পাওয়া যায়নি। ওই দিন এসপি তদন্তের রিপোর্ট দিতে হবে আদালতে।
আদালত উষ্মাপ্রকাশ করে বলে, ভোটের দিন দুই ভাই খুন হল, আর পুলিশ লিখেছে দুপক্ষের গোলমালে দুজন মারা গিয়েছে। বিচারপতি বলেন, 'যথেষ্ট হয়েছে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কিছু বলার নেই।'