বোলপুরে অনুব্রত মণ্ডলের দেহরক্ষী সায়গল হোসেনের ফ্ল্যাটে হানা দিল সিবিআই। তিনজন সিবিআই আধিকারিক সোমবার সায়গলের ফ্ল্যাটে যান। তার মধ্যে একজন মহিলা আধিকারিকও ছিলেন। সেই ফ্ল্যাটে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের এক আধিকারিককেও নিয়ে আসা হয়।
এদিকে বোলপুরের একটি রাইস মিলেও এদিন হানা দিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। শিবশম্ভূ চালকলেও গিয়েছিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। সেই চালকলে এদিন খাদ্য দফতরের আধিকারিকরাও গিয়েছিলেন। মূলত গরু পাচারের টাকায় এই চালকল সহ অন্যান্য সম্পত্তি কেনা হয়েছিল কি না সেটাও দেখা হচ্ছে।
এরপর আধিকারিকরা চলে আসেন সায়গলের ফ্ল্যাটে। এনিয়ে তিনবার ওই ফ্ল্যাটে হানা দিলেন সিবিআই আধিকারিকরা। এদিকে সেই ফ্ল্যাটেও কি অর্পিতার মতোই টাকা মজুত করা রয়েছে? সেই ফ্ল্যাটেও কি রাখা হয়েছে নানা গুরুত্বপূর্ণ নথি? সবটাই খতিয়ে দেখছেন সিবিআই আধিকারিকরা।
এদিকে অনুব্রতকে গ্রেফতার করার আগেই সিবিআই তার দেহরক্ষী সায়গল হোসেনকে গ্রেফতার করেছিল। এই সায়গলের সঙ্গে গরু পাচারের মূল চক্রীদের সরাসরি যোগাযোগ ছিল বলে অভিযোগ। সায়গলের মাধ্যমেই অনুব্রতর কাছে টাকা আসত বলে অভিযোগ। পাশাপাশি অনুব্রত ও গরু পাচারকারীদের মধ্যে যোগসূত্রের অন্যতম মাধ্যম ছিলেন এই সায়গল। তার সম্পত্তির বহর দেখে হতবাক তদন্তকারীরাও। নামে বেনামে আর কোথায় সম্পত্তি রয়েছে সেটাও জানার চেষ্টা করছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী আধিকারিকরা। সেক্ষেত্রে সিবিআই আধিকারিকরা এবার সেই ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছেন।
সূত্রের খবর, সায়গলের ফ্ল্যাটে পরিবারের তিনজন সদস্য রয়েছে। ফ্ল্যাটের নীচে দুটি গাড়ির সন্ধান মিলেছে। তার মধ্যে একটি গাড়ি চাপতেন তৎকালীন পুলিশকর্মী সায়গল।