নন্দীগ্রামে বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় ১১ জন তৃণমূল কর্মীর নামে চার্জশিট জমা দিল সিবিআই। হলদিয়া আদালতে তাঁদের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। এর আগে এই ঘটনায় আরও তিন জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা পড়েছিল।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বছর ৯ অক্টোবর চার্জশিটে নাম থাকা ১১ জনকে হলদিয়া ক্যাম্পে ডেকে পাঠায় সিবিআইয়ের প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। সেখানেই জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে জেল হেফাজতে রয়েছে ওই ১১ জন। এবার ওই ১১ জনের বিরুদ্ধেই চার্জশিট দাখিল করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। চার্জশিটে নাম থাকা ১১ জনের তালিকায় রয়েছেন মহম্মদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শেখ হাবিবুল ওরফে নান্টু, কেন্দিমারী–জলপাই গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য শেখ সাহাবুদ্দিন সহ মোট ১১ জন।
এর আগে গত ৫ অক্টোবর এই ঘটনায় জড়িত আরও তিন জনের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছিল সিবিআই। এই তিন জনকে গত বছর মে মাসে গ্রেফতার করা হয়। সব মিলিয়ে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৪ জনের নামে চার্জশিট জমা পড়ল। এই মামলাতেই গত বিধানসভা ভোটে তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ানের নামও জড়ায়। তবে সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত বছর ২ মে বিধানসভা ভোটে ফল প্রকাশের পর হিংসা ছড়ায় রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে। এর প্রভাব গিয়ে পড়ে নন্দীগ্রামেও। বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতিকে খুনের ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে সরব হয় বিজেপি। পরবর্তীকালে এই খুনের ঘটনার তদন্তভার যায় সিবিআইয়ের হাতে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই চার্জশিট পেশ নিয়ে জেলা বিজেপির সহ সভাপতি প্রলয় পাল জানান, ‘আইনের প্রতি আমরা আস্থাশীল।
ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় ১৪ জনের নামে চার্জশিট জমা পড়েছে। এই ঘটনায় শেখ সুফিয়ানের নাম ছিল। আশা করি তাঁকেও খুব তাড়াতাড়ি গ্রেফতার করা হবে।’ এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি দেবপ্রসাদ মণ্ডল জানান, কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। আমরা আইনি পথেই এর মোকাবিলা করব।