সাধারণত শিক্ষকদেরকেই পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়ে থাকে। কিন্তু, একটি পলিটেকনিক কলেজের পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হল বিডিওকে। বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ঘটনাটি পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি পলিটেকনিক কলেজের। শিক্ষকের পরিবর্তে কেন বিডিওকে পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হল? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও কেন বিডিওকে পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে? সে বিষয়টি স্পষ্ট করেছেন মহকুমা শাসক।
আরও পড়ুন: শিশু কোলে নিয়ে মাধ্যমিক পরীক্ষা নয়, নকল রুখতে নির্দেশ পর্ষদ সভাপতির
জানা গিয়েছে, একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে বিডিওকে ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ওই পলিটেকনিক কলেজে পরীক্ষার আয়োজন করা হয়। জেলা প্রশাসনের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। তাতে বলা হয়েছে, থিওরি পরীক্ষার দায়িত্বে থাকবেন বিডিও। আগামী ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত পরীক্ষা চলবে। পরীক্ষা চলা পর্যন্ত বিডিও এর দায়িত্বে থাকবেন। পাশাপাশি কড়া পুলিশি নিরাপত্তা ব্যবস্থা করার জন্য পুলিশ সুপারকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন বিডিওকে পরীক্ষার দায়িত্বে রাখা হল? সে প্রসঙ্গে কাঁথির মহকুমা শাসক সুভময় ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সরকারের নির্দেশ মেনেই বিডিওকে পরীক্ষার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তার বাইরে তিনি কিছু জানেন না। কিন্তু, মহাকুমা শাসকের এমন উত্তরে অবশ্য স্পষ্ট হচ্ছে না কেন বিডিওকে পরীক্ষার দায়িত্বে রাখা হল? এ নিয়ে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
জানা যাচ্ছে, এই পলিটেকনিক কলেজের পরিচালন সমিতির প্রধান হিসেবে রয়েছেন মহকুমা শাসক। মূলত গণ টোকাটুকি রুখতেই এই ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। গত বছর এই পলিটেকনিক কলেজে যখন পরীক্ষা হয়েছিল সেই সময় ব্যাপক গণ টোকাটুকির অভিযোগ উঠেছিল। এমনকী মোবাইল নিয়ে গণ টোকাটুকি হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ঘটনায় বেশ কয়েকজন পরীক্ষার্থীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। এবার সেই ধরনের ঘটনা এড়াতেই বিডিওকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে কড়া পুলিশি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পুলিশ সুপারকে। একেবারে বোর্ডের ধাঁচেই সেখানে পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। পরীক্ষা হলের বাইরে বিশেষ নিরাপত্তার ব্যবস্থা আছে। গণ টোকাটুকি রুখতে কলেজের বাইরে পার্কিংও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।