উত্তরপ্রদেশে বাড়ি ভেঙে মৃত দুই পরিয়ায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ালেন রাজ্যের পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মালদহে পৌঁছে বারাণসীতে রাজ্যের দুই শ্রমিকের মৃত্যুতে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে কটাক্ষ করলেন ফিরহাদ হাকিম। বললেন, ‘ যে রাজ্যে করোনার মৃতদেহ নদীতে ভাসানো হয়, সেখান থেকে দেহ এসেছে, সেজন্য আমি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে আমি এসেছি। রাজ্য সরকারের তরফে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলিকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা হবে।’
বুধবার বারাণসীর দুর্ঘটনায় নিহত পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের হাতে অর্থ সাহায্য তুলে দিতে মালদহে উপস্থিত হন পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এদিন কলকাতা থেকে হেলিকপ্টারে ফরাক্কা ফুটবল স্টেডিয়ামে আসেন ফিরহাদ।
এরপর সেখান থেকে সড়কপথে কনভয় নিয়ে সরাসরি মৃত দুই শ্রমিকের বাড়ি শেরশাহি ও রানিচক এলাকায় যান তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি তথা সাংসদ মৌসুম নূর, বিধায়ক নিহার ঘোষ-সহ অন্যান্যরা। মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার পর কালিয়াচকের নরেন্দ্রপুর এলাকায় আহতদের পরিবারের সঙ্গেও দেখা করেন ফিরহাদ। মৃত শ্রমিকদের পরিবারের হাতে দু’লক্ষ টাকার চেক তুলে দেন ফিরহাদ। পাশাপাশি, প্রত্যেক আহতকে পঞ্চাশ হাজার করে টাকার চেক দেওয়া হয়।
দিন পনেরো আগে উত্তরপ্রদেশে বিশ্বকাশী মন্দির সংস্কারের কাজের ঠিকা পেয়ে বারাণসী গিয়েছিলেন মালদহের কালিয়াচকের কয়েকজন শ্রমিক। মঙ্গলবার ভোররাতে ওই শ্রমিকেরা নির্মীয়মান ওই বাড়ির নিচতলায় একটি ফাঁকা জায়গায় ঘুমিয়ে ছিলেন। সেইসময়ই বহুতলের একটি অংশ হুড়মুড়িয়ে ভেঙে ঘুমন্ত শ্রমিকদের উপর পড়ে যায়। তাতেই চাপা পড়েন ১০ জন শ্রমিক। তাঁদের মধ্যে মৃত্যু হয় শেরশাহি গ্রামের দুই শ্রমিক এবাদুল মমিন (২৭) ও আমিনুল মমিন(৪০)-এর। ঘটনায় ছ’জন আহত হন। বুধবার মৃত শ্রমিকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।