প্রয়াত হলেন সিপিএমের প্রখ্যাত নেত্রী মহারানি কোঙার। শুক্রবার বর্ধমানের বাসভবনে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯০ বছর। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে মৃত্যুর পর তাঁর দেহ দান করা হয়। প্রয়াত বাম নেতা বিনয় কোঙারের স্ত্রী মহারানি দেবী বয়সের তোয়াক্কা না করেই সিপিএমে একের পর এক মিছিলে হেঁটেছেন। সিপিএমের গত ব্রিগেডের বৈঠকে তিনি গিয়েছিলেন। আগামী ৭ জানুয়ারি বাম যুব সংগঠনের ব্রিগেড সমাবেশ রয়েছে। তার আগে প্রয়াত হলেন সিপিএম নেত্রী।
আরও পড়ুন: পরিকল্পনা করে CPMকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে পুলিশ, TMC নেতা খুনে দাবি কান্তির
নবীন প্রজন্মের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মিছিল করেছেন এই সিপিএম নেত্রী। মানুষের কাছে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন এই নেত্রী। বাম আমলে তিনি বর্ধমানের মেমারী থেকে তিনবারের বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। প্রয়াত স্বাধীনতা সংগ্রামী এবং কিংবদন্ত কমিউনিস্ট নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙারের পরিবারের সদস্য ছিলেন মহারানি। সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির নেতৃত্ব জানিয়েছেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের জন্য তাঁর মরদেহ বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষকে দান করা হয়েছে। সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, একদিকে তাঁর স্বামী বিনয় কোঙার যেমন বারবার বিতর্কিত মন্তব্য করেছেন। অন্যদিকে, মহারানি দেবী একেবারে উলটো চরিত্র তথা মৃদুভাষী হিসেবে যথেষ্ট জনপ্রিয় ছিলেন। রাজনৈতিক জীবনে তাঁকে কখনও বিতর্কে জড়াতে দেখা যায়নি। শুধু তাই নয়, দলের প্রতিও তাঁর গভীর ভালোবাসা ছিল। বাম সরকারের পতনের পর থেকে সিপিএমের সব কটি ব্রিগেড সমাবেশে তিনি গিয়েছেন। এছাড়াও দলের হয়ে ভোট প্রচার এবং অন্যান্য প্রচারেও তিনি বৃদ্ধ বয়সেও কাজ করতেন। দলের কাজের জন্য কখনও তাঁর কাছে বয়স বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি।
সিপিএম সূত্রে জানা গিয়েছে, মহারানি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ১৯৩৩ সালের ২৩ নভেম্বর। এরপর ১৯৯৮ সালে তিনি অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির সদস্যপদ গ্রহণ করেন। তারপর থেকে মেমারি এলাকায় সংগঠনকে মজবুত করতে বিশেষ করে মহিলাদের মধ্যে দলের সংগঠনকে সম্প্রসারিত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৬৪ সালে বাম ভাগ হয়ে যাওয়ার পর তিনি সিপিএমে যোগ দিয়েছিলেন।