তাঁর বিরুদ্ধে জারি আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাকে হাতিয়ার করে ফের একবার পুলিশের ওপর আক্রমণ শানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। রবিবার সন্ধ্যায় সরশুনায় এক জনসভায় পুলিশকে বাছাই করা বিশেষণে বেঁধেন তিনি। বলেন, পুলিশ দিয়ে ছাড়া বিজেপি আর আটকানোর ক্ষমতা নেই তৃণমূলের।
দিলীপবাবু বলেন, ‘কালকে খবরের কাগজে পড়েছি আমার বিরুদ্ধে না কি কেস হয়েছে। চার্জশিট হয়ে গিয়েছে, ওয়ারেন্টও বেরিয়ে গিয়েছে। এ এক বিচিত্র গ্যাঁড়াকল পশ্চিমবঙ্গে। যার বিরুদ্ধে কেস সে জানে না। তার কাছে কোনও নোটিশ নেই। ভগবান জানে কেন সাজা দেয়নি। দুদিনের হয়তো জেলই দিয়ে দিল’।
এর পরই সরাসরি পুলিকে সরাসরি আক্রমণ করে দিলীপ বলেন, ‘বলেছি না কি, ঘুষ না দিলে পুলিশের চাকরি হয় না। কি মিথ্যে কথা বলেছি? প্রোমোশনও হয় না। আবার বলছি আমি, আবার কেস করো। এটা বলেছি বলে না কি পুলিশের প্রেসটিজে লেগেছে। পুলিশের আবার প্রেসটিজ? আশ্চর্য ব্যাপার। ঘোড়ার যেমন সিং, পুলিশের তেমন প্রেসটিজ’।
রাজ্য পুলিশের ওপর অনাস্থা প্রকাশ করে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, ‘পুলিশ আবার তদন্ত করে বলেছে দিলীপ ঘোষ পলাতক। বুঝুন, পুলিশের ন্যাবা হয়েছে? আমি রোজ ভাষণ দিচ্ছি। রাস্তায় হাঁটলে আমার সঙ্গে ধাক্কা লেগে যায় লোকের। টিভি খুললে আমাকে দেখা যাচ্ছে। সব নেতারা সকাল বিকেল গালাগালি দিচ্ছে আমাকে। আর পুলিশ বলছে দিলীপ ঘোষকে পাওয়া যাচ্ছে না। এই পুলিশের ওপর ভরসা করে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ আছে। আমাকে আবার কোর্টে গিয়ে জামিন নিতে হবে’।
সম্প্রতি দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে বর্ধমান আদালত। ২০১৯ সালের নভেম্বরে বর্ধমানের রায়নার একটি জনসভায় দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, ঘুষ না দিলে পুলিশে চাকরি হয় না। তাতে বাহিনীর মানহানি হয়েছে বলে একটি মামলা দায়ের হয়। সেই মামলাতেই দিলীপবাবুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে। তবে দিলীপবাবুর দাবি, তাঁর কাছে আদালতের কোনও নোটিশ পৌঁছয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলা রয়েছে তাই জানা ছিল না তাঁর। নোটিশ না পাঠিয়েই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।