গরু পাচার মামলার শুনানি এখন থেকে দিল্লিতে হবে। তাই মামলার যাবতীয় ফাইল আসানসোল আদালত থেকে দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে নিয়ে গেল ইডি। বুধবার ইডির দুই আধিকারিক আসানসোল আদালতে আসেন। তাঁরা দু'টি সুটকেসে ফাইল ভর্তি করে দিল্লি নিয়ে গেলেন।
গত ৬ সেপ্টেম্বর এই মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের নির্দেশ দেয় আসানাসোলের সিবিআই বিশেষ আদালত। এই মামলায় অভিযুক্তের তালিকায় রয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত, তাঁর কন্যা সুকন্যা মণ্ডল, প্রাক্তন দেহরক্ষী সহগল হোসেন। এছাড়া এনামুল হক, বিএসএফ কমান্ড্যান্ট সতীশ কুমার-সহ আরও কয়েকজনও এই গ্রেফতার করে সিবিআই। তাঁদের বর্তমানে ঠাঁই তিহার জেলে।
(পড়তে পারেন। ‘পাবলিক লাইফে থাকলে…!’ফেসবুক পোস্ট করে ইন্দ্রনীলের সঙ্গে তরজায় ইতি টানলেন বাবুল?)
ইডি গত ২৮ জুলাই এই মামলা দিল্লিতে স্থানান্তরের জন্য আবেদন করে। এর আগে দুই দফায় এই মামলার শুনানি হয়েছে। তৃতীয়বারে ইডির আর্জি মেনে নেয় আদালত। আদালত বলে গরু পাচার মামলার শুনানি হবে দিল্লিতে। এই মামলায় যাঁরা জেলে রয়েছেন, তাঁদের শুনানিও দিল্লিতে হবে।
অনুব্রত মণ্ডল বেশ কয়েকবার শরীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে তিহার থেকে তাঁকে আসানসোল সংশোধনাগারে আনার আর্জি জানান। কিন্তু আদালত তা বাতিল করে দিয়েছে। এবার থেকে গরু পাচার সংক্রান্ত সব মামলার শুনানি হবে দিল্লিতে।
আদালত জানিয়েছিল, ১১ সেপ্টেম্বর মধ্যে এই মামলা সংক্রান্ত সমস্ত কাগজ নিয়ে যেতে হবে। কিন্তু জি ২০ সম্মলনের কারণের ব্যস্ত ছিলেন ইডি আধিকারিকেরা। তাই তাঁরা কাগজ নিয়ে যেতে পারেননি। তদন্তকারী সংস্থা আদালতের কাছে সময় চেয়ে আবেদন করে। বিচারক তাদের ১৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দিয়েছিল। তার আগেই সমস্ত নথি নিয়ে গেল ইডি।
বুধবার সকাল আসানসোল আদালতে আসেন ইডি আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। দুটি ট্রলি সুটকেসের মধ্যে করে গরু পাচার সংক্রান্ত সমস্ত নথি নিয়ে দিল্লি রওনা দেন আধিকারিকরা।